পাতা:শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

登堡 ” সপ্তম পরিচ্ছেদ বাহিরে আটচালার পাশ্বে সদানন্দ একটা গো-বৎসকে বহুবিধ সম্বোধন করিয়া আদর করিতেছিল। ললনা সেইখানে প্ৰবেশ করিয়া নিকটে দাড়াইল। সদানন্দ মুখ ফিরিয়া বলিল, ললনা, তুমি যে ! পিসিমা বাড়ি আছেন ? না । এইমাত্র কোথায় গেলেন । লালনা ইতস্ততঃ করিয়া এক পদ পিছাইয়া দাড়াইল । সদানন্দ গোবৎসকে ছাড়িয়া দিয়া৷ ললনার মুখপানে চাহিয়া বলিল, পিসিমার কাছে দরকার আছে কি ? 羲1 তিনি ত বাড়ি নেই, আমাকে বললে হয় না ? লালনাও সেই কথা ভাবিতেছিল, কিন্তু সদানন্দ জিজ্ঞাসা করিবামাত্র লজ্জায় তাহার সমস্ত বদন লাল হইয়া গেল। বাটীতে কিছু খাইবার নাই সেইজন্য আসিয়াছি-ছিঃ ছিঃ ! একথা কি বলা যায় ? একদিন না খাইলে কি চলে না ? কিন্তু আর সবাই ? শুভদাও একদিন ঠিক এই কথাই ভাবিয়াছিল, আজ ললনাও তাঁহাই ভাবিল-তবু মুখ ফুটে না । যে কখন এ অবস্থায় পড়িয়াছে, সেই জানে ইহা বলা কত কঠিন ! সেই কেবল বুঝিবে ভদ্রলোকের একথা বলিতে গিয়া বুকের মাঝে কত আন্দোলন, কত ঘাত-প্ৰতিঘাত হইয়া যায়! বলিবার পূর্বে কেমন করিয়া জিহবার প্রতি শিরা আপনা। আপনি আড়ষ্ট হইয়া ভিতরে ভিতরেই জড়াইয়া যায়! ললনা মুখ ফুটিয়া কিছুই বলিতে পারিল না ; কিন্তু সদানন্দ যেন বুঝিতে পারিল, তাহার মুখ দিয়া ভিতরের ছায়া বুঝি কতক অনুমান করিয়া লইল তাই হাসিয়া উঠিয়া৷ ললনার হাত ধরিল। সে পাগল ; সকলেই জানিত সদা পাগলার মতি স্থির নাই। এমন অনেক কাজ সে করিয়া ফেলিত যাহা অন্যে করিতে পারিত না ; অন্যে যাহাতে