পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবানী বলে, বেশ তো, বেশ তো-এই তো চাই ! আরেকটা যুদ্ধ লাগবেই মনে হচ্ছে। কোরিয়ার আগুন সহজে নিভবে মনে হয় না । শান্তি শাস্তি করে অনেকে চেঁচাচ্ছে বটে। কিন্তু আমেরিকা কি ছেড়ে কথা কইবে । এখন থেকে তৈরী থাক । দু’ এক বছরে শেষ হবে না। যুদ্ধ। এমনিভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে যদি চালাতে পারিস-যুদ্ধের বাজারে লাখ টাকা হেসে খেলে কামাতে পারবি । ঃ তুমিও তৈরী হচ্ছ নাকি ? ঃ তৈরী হচ্ছি না ? এত বড় বড় এতগুলো কারবারের দায় নিয়ে আমিও কি কম মুস্কিলে পড়েছি রে । ভাগ্যে যুদ্ধটা লাগবে ! সমরেশের মনে পড়ে যে বনমালীও কারবার সামলাতে জীবন পাত করতে নোমেও আসল ভরসা খাড়া করেছিল যুদ্ধ। গত যুদ্ধ। তবে চারিদিকে মানুষের দুর্দশা বাড়িয়ে দিযে গেল কেন ? কেমন করে, কোন নিযমে ? মানুষের অবস্থা ভাল থাকা মন্দ থাকার সঙ্গে তার বাপের কারবারটার সোজাসুজি যোগাযোগ ছিল বলে প্ৰথম দিকে প্রচুর লাভ। বাগিয়েও যুদ্ধ শেষ হবার আগেই কেন সুচনা দেখা গেল-কয়েক বছরের মধ্যেই সর্বনাশ হয়ে যাবে ? ইস, তখন যদি কারবারটা গুটিয়ে নিত তার বাবা । অন্ধের মত বনমালী যদি টাকা ঢেলে ঢেলে কারবারটা বঁচিযে রাখায় চেষ্টা না করত আরেকটা যুদ্ধ বান্ধবার আশায় ! যে টাকা জন্মেছিল, বিনা কারবারে বিনা আয়ে কয়েক বছর এত বড় সংসারটাকে ভাল ভাবে খাইয়ে পরিয়ে গেলেও একলাখ দেড়লাখ মজুত বাপ এবং বনমালী গত হবার পর । ভবানীও আরেক যুদ্ধের আশায় আছে। কিন্তু বনমালীকে সে তো ঠিক পরামর্শই দিয়েছিল-কারবার খতম করে ফেলাই ভাল। RRe