পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনমালী ভেবে চিন্তে সমরেশকে বলে, ছোটমামী তোকে না খুব ভালবাসে ?

  • শরীর ভাল থাকলে আদৱ যত্ন করে, নইলে করে না ।
তা হোক, তুমি একবাব মামীর কাছে যাও। বুঝিয়ে বল গিয়ে যে এই ৷ বিপদ, মামাকে বলে তিনমাসের জন্য টাকাটার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
বলবি যে মামার কাছে টাকাটা কিছুই নয়, ফিরে না পেলেও মামার কিছু , আসবে যাবে না-কারবারটা ভুবলে তোদের সব্বোনাশ হয়ে যাবে, হয় তোদের সবার দায় শেষ পর্যন্ত মামাকে ঘাড়ে নিতে হবে ।

সমরেশ বলে, তুমি গেলেই তো পার বুনো দাদু ? ভাল করে সব কথা মামাকে বুঝিয়ে বলতে পারবে। বনমালী মাথা নেড়ে বলে, আমার কথা কি কানে তুলবে তোর মামা ? তোর মার সঙ্গেই সম্পর্ক তুলে দিয়েছে। বখাটে হয়ে গেছে বলে রাত্তির বেলা বাড়ী ফিরতেই মহিম বললে, ঘুম ভেঙ্গে এ বাড়ীতে তার মুখ দেখলে ওই মুখে জুতো পায়ে লাথি মারবে। সেদিন বেশী রাত করে নি। মহিমের হুকুমে তোর মা ওর সঙ্গে কথা কইলে না, তোর মার হুকুমে ওকে কেউ খেতে দিলে না। চুপচাপ শুয়ে রইল। সকালে মহিম কল ঘরে গেলে শোয়ার ঘরে গিয়ে ক্যাশব্যাক্স, ভেঙ্গে শ” তিনেক টাকা বাগিয়ে গট গট করে। বেরিয়ে গেল । ৪ ওসব তো শুনেছি । আসল কথা বল । ঃ ওটাই তো আসল কথা । তিনশ’ টাকা সম্বল করে এক কাপড়ে বাড়ী ছেড়েছিল, নিজের চেষ্টায় তোর বাপের চেয়ে বেশী কামাচ্ছে । গায়ের জালায় তোদের কারো মুখ দ্যাখে না । তোর বাবা নয় নিরুপায় হয়ে দায় চাপিয়ে গেছে, ওর কাছে আমি একটা কর্মচারী । আমি বুঝিয়ে বলতে গেলে কি করবে। জানিস বাবা ? ওই যে তোর বাবা ওকে বলেছিল জুতো পায়ে মুখে লাথি মারবে, অ্যাদিন পরে জবাব দিতে আমার মুখে জুতো মেরে বিদায় দেবে। Rad