পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এতদিন যারা মজা জুটিয়ে এলো, তাদের বুঝি আর দরকার নেই। মুনাফার এইসব কথাই ভাবছিল সমরেশ । ভাবছিল মানে শক্ত কাঠের আস্ত টেবিলটার গায়ে ঠেকানো অনেক দামী হাল্কা ভাঙ্গা চেহারটায় বসে। সারাদিনের বরাদ্দ তিনটে সিগারেটের শেষটা ধরিয়ে টানছিল--রাত্রের সামান্য আহারের পাট সেরে নিয়ে নিজের তৈরী তামাক খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে যথারীতি আবার পরদিন ভোর থেকে সারাদিন খাটার জন্য তৈরী হতে । সুনীতি তার কোলে ঝাপিয়ে পড়ে। সিগারেট ছিটকে যায়। জ্বলন্ত সিগারেটটা সিমেণ্টের মেঝেতে পড়েছে চেয়ে দেখেই সমরেশ জীবন থেকে সিগারেট বাতিল করার সিদ্ধান্ত করে নিশ্চিন্ত হয়-তার মুখের সিগারেটটা চুরি চামারি করে যোগাড় করা সিমেণ্ট দিয়ে তৈরী ওই অদাহ্যু মেঝেতে পুড়ছে—সে হিসাবটা বরং কষে দেখবার চেষ্টা করবে। শুধু বিড়ি টেনে খুন্সী থেকে। দু’চার মিনিটের মধ্যে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে সিগারেটটার স্পেশালভাবে তৈরী মেশােল দেওয়া মশলায় জলন্ত টুকরাটুকু। তা যাক। সব দায় সামলে নিশ্চিন্ত মনে দামী টনের সিগারেট যত খুন্সী খেয়ে যাবার অবস্থা যতদিন না হবে ততদিন শুধু ষে নিজের পয়সায় বরাদ্দ তিনটে সিগারেটও খাবে না। তাই নয়, কেউ অফার করলেও সিগারেট ছোবে না ।

এবারও সেরকম হল সু ? ওষুধ খেয়ে কোন ফল হল না ?
ডাক্তারি চিকিৎসাটা করালে না। ভারি ওষুধ খাওয়াচ্ছ। সন্তা ওষুধে এরকম ভীষণ ব্যথা সারে ?

ঃ খেয়েছিস সুৰ ?

কি খাব ? কাল থেকে বুকের যন্ত্রণায় শ্বাস ফেলতে পারছি না। কতক্ষণে

Se