পাতা:শুশ্রূষা - শ্যামাচরণ দে.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nà Ne» 'esha ) দুর্বল হইয়া পড়িলে সকল রোগেই মাংসেব যুষ ( ১৫২ পৃষ্ঠা ) অথবা “সূপ’ ( ১৫৩ পৃষ্ঠা ) ব্যবস্থা করা যায়। নূতন জ্বরে কখনও মাংস দেওয়া কৰ্ত্তব্য নহে ; মাংস খাইলে কোষ্ঠবদ্ধত হয় বটে, কিন্তু মাংসের সুপ খাইলে তাহা হয় না । পাঠার মাংস পুষ্টিকাবক এবং বায়ু ও পিত্তনাশক। খাসির মাংস বলকারক, বাতপিত্তনাশক কিন্তু শ্লেষ্মা-বুদ্ধিকাবক এবং অত্যন্ত গুরুপাক । কচি পাঠার মাংস লঘুপাক ও বলকারক। মুরগীর মাংস স্নিগ্ধকারক, বায়ুনাশক, বল কারক ও গুরুপাক, কিন্তু মুরগীর ছানা ( chicken ) লঘুপাক ৷৷ পায়রার মাংস স্নিগ্ধকাবক, বায়ুপিত্তনাশক, গুরুপাক ও রক্ত পরিষ্কারক । রোগীর পক্ষে মুরগীব ছানার মাংসই সৰ্বোৎকৃষ্ট । কাস রোগে কাঁচ পাঠার মাংসই উপকারী। ৭৬ । ডিম্বা-মাংসের পরই ইহা অতি পুষ্টিকর খাদ্য৷ ‘ অধিক সিদ্ধ করিলে ডিম্ব অতিশয় গুরুপাক হয় । কাচা ডিম কিঞ্চিৎ লবণ মিশ্রিত করিয়া খাইলে অতি শাস্ত্ৰ জীৰ্ণ হয় । অৰ্দ্ধ সিদ্ধ করিয়৷ ( ২/৩ মিনিট কাল উষ্ণ জলে রাখিয়া দিলেই হইবে ) মাখন এবং লবণ ও গোলমরিচ মিশ্রিত করিয়া আহাৰ করিলে কোন প্ৰকার দোষ থাকে না এবং সহজে জীর্ণ হয়। অত্যন্ত দুর্বল রোগীকেও উক্ত উপায়ে ডিম দেওয়া যাইতে পারে। পুরাতন ডিম ভক্ষণ করা কীৰ্ত্তব্য নহে। টাটকা ডিমের ভিতর দিয়া আলোক দৃষ্ট হয়, কিন্তু পুরাতন ডিমে তাহা হয় না । উহার উপরিভাগ সাদা দেখায় এবং জলে ডুবাইলে ভাসিয়া থাকে। ডিম অধিক কাল টাটুকা রাখিতে হইলে কাঠের গুড়া কিম্বা লবণের মধ্যে রাখিলে অথবা ডিমের গাত্রে তৈল • মাখাইয়া রাখিলেও অনেক দিন ভাল থাকিতে পারে। একবারে অধিক ডিম আহার করা উচিত নয়। সকল প্রকার ডিম্বের মধ্যে কুকুটের ডিম্বই উত্তম । স্নায়ুমণ্ডলীর দৌৰ্ব্বল্যে ইহা বিশেষ উপকারী।