পড়ে নিয়েছেন। দোহাই আপনার, আমাকে দাগি চোর ঠাওরাবেন না— এক-এক সময়ে এমন অবস্থা আসে, মনের ভিতরটা শংকরাচার্য হয়ে ওঠে; বলতে থাকে, আমিই লিখেছি কি আর-কেউ লিখেছে এই ভেদজ্ঞানটা মায়া। এই দেখুন-না, আজ সকালে বসে হঠাৎ খেয়াল গেল, আমার জানা সাহিত্যের ভিতর থেকে এমন একটা লাইন বের করি যেটা মনে হবে— এইমাত্র স্বয়ং আমি লিখলুম, আর কোনো কবির লেখবার সাধ্যই ছিল না।’
লাবণ্য থাকতে পারলে না, প্রশ্ন করলে, ‘বের করতে পেরেছেন?’
‘হাঁ, পেরেছি।’
লাবণ্যর কৌতূহল আর বাধা মানল না, জিজ্ঞাসা করে ফেললে, ‘লাইনটা কী বলুন-না।’
অমিত খুব আস্তে আস্তে কানে কানে বলার মতো করে বললে—
‘For God's sake, hold your tongue
and let me love!’
লাবণ্যর বুকের ভিতরটা কেঁপে উঠল। অনেকক্ষণ পরে অমিত জিজ্ঞাসা করলে, ‘আপনি নিশ্চয় জানেন লাইনটা কার?’
লাবণ্য একটু মাথা বেঁকিয়ে ইশারায় জানিয়ে দিলে, ‘হাঁ।’
অমিত বললে, ‘সেদিন আপনার টেবিলে ইংরেজ কবি