পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ ( Ευ শেষের পরিচয় আমিই ঠাকুরের কাজ করি। পূজে না হওয়া পৰ্যন্ত আমিই বাড়ীতে না-খেয়ে থাকি। কিন্তু আজ থাকতুমন মা। জ্বরের ভয় না থাকলে আপনাকে বসিয়ে রেখে আমরা সবাই মিলে আজ খেয়ে নিতুম | এই বলিয়া সে হাসিতে লাগিল, ভাবিয়াও দেখিলনা ইহা কতদূর অসম্ভব এবং কি মৰ্ম্মান্তিক আঘাতই তাহার মাকে করিল। সবিতা আর একদিকে চাহিয়া নীরবে বসিয়া ব্লছিলেন, একটা কথারও উত্তর দিলেননা। মেয়ে যাহাই বলুক, মা জানেন এ গৃহের আর তিনি কেহ নহেন, পারিবারিক নিয়মপালনে আজ তাহার খাওয়া-না-খাওয়া সম্পূর্ণ অর্থহীন। রেণু সারদাকে ঠাকুর দেখাইতে লইয়া গেল। সবিতা সেইখানেই চুপ করিয়া বসিয়া রহিলেন । মেয়েটা কতটুকুই বা বলিয়াছে ! তাহার বিমাতার উত্যক্তচিত্তের সামান্য একটুখানি বিবরণ, ঠাকুর-দেবতায় ঠতশ্রদ্ধার তুচ্ছ একটা উদাহরণ। এই ত! এমন কত ঘরেই ত আছে। অভাবিতও নয়, হয়ত বিশেষ দোষেরও নয়, তথাপি এই সামান্য বস্তুটাই তাহার কল্পনায় বারো বছরের অজানা ইতিহাস চক্ষের পলিকে দাগিয়া দিয়া গেল। এই স্ত্রীলোকটি হয়ত তাহার স্বামীকে একটা মুহূৰ্ত্তের জন্যও সুঝে নাই, তাহার কতদিনের কত মুখভার, কত চাপা-কলহ, কত ছোট ছোট সংঘর্ষের কঁাটায় অনুবিদ্ধ শান্তিহীন দিন, কত বেদনা-বিক্ষত দুঃখময় স্মৃতি- এমনি করিয়াই এই স্নেহ-শ্রদ্ধ-হীনা, কোপনস্বভাব নারীর একান্ত সন্নিধ্য ও শাসনে এই দু’টি প্রাণীর-তাহার স্বামী ও কন্যার---দিনের পর দিন কাটিয়া আজি দুৰ্দশার শেষ সীমায় 'श्रानेिछ्न्। 6छैकिश्वitछ । অথচ, কিসের জন্য ? এই প্রশ্নটাই এখন সবচেয়ে বড় করিয়া বিধিল।। সবিতাকে । যে-ভার ছিল স্বভাবতঃ তঁাহারি আপনার, সে-বোঝা যদি