পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় S ዓ o ভাড়াটের মাঝে সেও ছিল একজন। শুধু নাম ছিল জানা, মুখ ছিল চিনা । কখনো দেখা হইয়াছে সিড়িতে, কখনো উঠানে, কখনো বা চলন-পথে । সসাঙ্কোচে সরিয়া গেছে, চোখে-চোখে চাহিতে সাহস করে নাই । অকস্মাৎ কি ব্যাপার ঘটিল কে দিল তাহার বাস বঁাধিয়া সবিতার হৃদয়ের অন্তস্তলে। ! কিন্তু এ-ই। কি চিরস্থায়ী ? কে জানে কবে সে আবার ঘর তাঙিয়া এমনি সহসা অদৃশ্য হইবে! আরও একজন আসিয়াছেন তিনি বিমলবাবু। মৃদুভাষী ধীর প্রকৃতির লোক, স্বল্পক্ষণের জন্য আসিয়া প্ৰত্যহ খবর নিয়া যান কোথায় কি প্ৰয়োজন । হিতাকাজক্ষার আতিশয্যে উপদেশ দেওয়ার ঘটা নাই, বন্ধুতার আড়ম্বরে বসিয়া গল্প করার আগ্রহ নাই, কৌতুহলের কটুতায় পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রশ্ন করার প্রবৃত্তি নাই,-দুই চারিটা সাধারণ কথা-বাৰ্ত্তার পরেই প্ৰস্থান করেন । সময় যেন তঁহার বাধা-ধরা । নিয়ম ও সংযমের শাসন যেন এই মানুষটির সকল কাজে সকল ব্যবহারে বড় মৰ্য্যাদা দিয়া রাখিয়াছে। তবু তাহার চোখের দৃষ্টিকে সবিতা ভয় করেন । BB BBD DBB BB BDBS BB DDDSDDD DBBDYSkDuDD DBD S সে চোখে আছে আৰ্ত্তের মিনতি, নাই উন্মাদের ব্যভিচার,- শঙ্কা শুধু তার এই কারণে। পাছে অতর্কিতে পরাভব আসে কখন এই পথে । তিনি আসিলে আলাপ হয় দুজনের এই মতো পূবের ঢাকা বারান্দায় একখানা বেতের চৌকি টানিয়া লইয়া বিমলবাবু বসিয়া বলেন, কেমন আছেন। আজ ? সবিতা বলেন, ভালোই ত আছি । —কিন্তু ভালো ত তেমন দেখাচ্চেনা ? যেন শুকনো শুকনে । -कई न ।