পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় &१७ সতর্কভাবে রক্ষা করে আসচে । সেই মায়ের কাছে সত্য গোপন করা আমি ন্যায় বলে মানতে পারবনী মা । আপনি বললেও নয় । এক নিশ্বাসে এতখানি বক্তৃতা করিয়া তারক দাম লইতে লাগিল। সবিতা স্থিরদৃষ্টিতে তারকেরু পানে তাকাইয়া শুনিতেছিলেন। ধীরকণ্ঠে কহিলেন-তারক, তোমাদের মধ্যে কি হয়েচে বাবা ? --বলি শুনুন তা’হলে মা ৷ রাখাল আমার কাছে আপনার পরিচয় যা” দিয়েছিল, যদি আপনাকে সত্যিই সে নিজের মা বলেই জ্ঞান করতো, তা’হলে সে-পরিচয় দিতে কখনই পায়িতন । সবিতা কোনও কথা কহিলেনন এবং তঁহার সম্মিত মুখভাবেরও কোনো পরিবর্তন দেখা গেলন । তারক পুনরায় সোৎসাহে বলিতে প্ৰবৃত্ত হইল,--আপনি বলেছিলেন। মা, কারু সম্বন্ধে কোনও কথা উপযাচক হয়ে বলা তার প্রকৃতি নয় । কিন্তু আমিই তো তার বিপরীত প্ৰমাণ পেয়েছি। সে উপযাচক হয়েই আমার কাছে তার নতুন-মার। এমন পরিচয় দিয়েছিল, যা’ আমার জানিবার কোনও প্রয়োজনই ছিলনা । কিন্তু নিৰ্বোধি বোঝেনি, আগুনকে ছাই বলে নির্দেশ করলে প্ৰথমে হয়তো মানুষ ভুল করতে পারে, কিন্তু সে-ভুল বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না । অগ্নি নিজের পরিচয় নিজেই প্ৰকাশ করেন । সবিতা এবারও জবাব দিলেননা। পূর্ববৎ সপ্রশ্নদৃষ্টি মেলিয়া মোনই शृन्न् ि। তাৱক বলিতে লাগিল-অফশ্য আমি স্বীকার করি মা, সে যখন অনেককিছু অতিরঞ্জিত কাহিনী শুনিয়ে আমাকে প্রশ্ন করেছিল-এ’ সকল শুনে আমার ঘৃণা হচ্ছে, কিনা ? আমি জবাব দিয়েছিলাম-ঘূর্ণ হওয়াটাই তো স্বাভাবিক রাখাল। তখন তো জানতামনা তার উদ্দেশ্যই