পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় Rbr, --রাজুকে আপনি যতই আপনি সন্তানের তুল্য ভাবুননা কেন, তবু সেটা আপন সন্তানের ‘তুল্য’ই থেকে যাবে। তুল্য বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ আপন সন্তান হয়ে উঠবেন । উঠতে পারেওনা । সবিতা বলিলেন--সকল ক্ষেত্রে সব ব্যাপার একরকম হয়না তারক । --তা’ জানি মা। তবু বলি শুনুন। আপনি নিজেই বিচার করে দেখুন, আপনার অন্তরের স্নেহাধিকারে রেণু আর রাজুর সমান দাবী যতই থাকুনা, পার্থক্য যে কত বেশি, তা” দেখিয়ে দিচ্চি। ধরুন, আপনার এই হরিণপুরে আসা। রওনা হবার আগের রাত্ৰে শুনলাম, রাখাল আপনাকে নিষেধ করেছিল হরিণপুরে আসতে । আপনি নাকি বলেছিলেন,--ছেলে বড় হলে তার সম্মতি নেওয়া দরকার । তাই শুনে সে অসম্মতিই জানিয়েছিল, আপনি তা’ ঠেলে চলে এলেন আমার এখানে । কিন্তু মা, রেণু যদি আপনার এখানে আসায় এতটুকু অনিচ্ছার আভাস মাত্র জানত, আপনি হরিণীপুরে আসা তখনিই বন্ধ করে দিতেন নিশ্চয় । সবিতা একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন-আমি জানতাম তারক, রাজু কেবলমাত্র অভিমান বশে রাগ করেই আমাকে আসতে নিষেধ করেছিল । ওটা তার তর্ক বা জেদ মাত্র। সত্যি সত্যিই যদি আমাকে এখানে পাঠাবার তার অনিচ্ছা থাকত, তাহলে আমি কখনই DLE0 KDBDBB DDS -কিন্তু ধরুন, রেণু যদি কেবলমাত্র জেদ কিংবা তর্ক করেই আপনাকে কোনওখানে যেতে নিষেধ করতো, আপনি তার সেই তর্ক ও জিদেরও খাতির না রেখে পারতেন। কি মা ? সবিতা মৌন হইয়া রহিলেন । বহুক্ষণবাদে ধীরে ধীরে বুলিলেনতুমি ঠিকই বলেচ তাৱক । মানুষ নিজের অন্তরকেই বোধহয় সবচেয়ে কম চেনে। তবে একটা কথা। রাজু আমার কাছে রেণুর বাড়া না