পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○br> শেষের পরিচয় সবিতার নামে চিঠি । সারদা লিখিয়াছে। সংবাদ দিয়াছে ধিমালবাবুর সহিত রাজুর দেখা হইয়াছিল রাস্তায়। তঁহার মুখে বিমলবাবু সংবাদ পাইয়াছেন,-দেশে কন্যা সহ ব্ৰজবাবু কুশলেই আছেন। সবিতা পত্ৰ পাঠ করিয়া হাসিয়া বলিলেন-রাজু বোধহয় সারদার DEE LBB DBBD DBDmDBSS BDBBDD DB BBSDDBDSBSDD DBSBDSS gOBmD সারদা হরিণীপুরে আসেনি। তারক কথা কহিলনা । সবিতা আবার বলিলেন-দেখি, আমিই না হয় তাকে একখানা চিঠি লিখে দিই। এক কাজ করোনা তারক, তুমি তাকে এখানে আসবার নিমন্ত্রণ করে চিঠি লেখে, আমিও তার সঙ্গে লিখে দেবো। এখানে আসতে । এখানে সে এলে তোমাদের দুই বন্ধুর মান-অভিমানের মীমাংসা হয়ে যাবে । তারক বালিল--বেশতো । আমি লিখে দিচ্চি আজই । সবিতা স্নেহ স্নিগ্ধ কণ্ঠে কহিলেন,-রাজু আমার বড় অভিমানী ছেলে । কিন্তু তার অন্তরের তুলনা কোথাও দেখলামনা । কথাটা সবিতা বলিলেন এমনি সহজ ভাবেই, কিন্তু তারকের চিত্তে ইহা অন্য অর্থে আঘাত করিল। তাহার মনে হইতে লাগিল নতুন-মা বোধহয় তাহারই অন্তঃকরণের সহিত তুলনা করিয়া রাজুর সম্বন্ধে এই কথা বলিলেন। তাহার মুখ হইয়া উঠিল অন্ধকার, বাক্য হইয়া গেল নিস্তব্ধ। সবিতা তাহা লক্ষ্য না করিয়াই বিগলিত কণ্ঠে বালিতে লাগিলেনরাজুর কথা যখন ভাবি তারক, তখন মনে হয়, আমার রাজু বেশি স্নেহের ধন না রেণু? রাজু আর রেণু ওদের দুজনের মধ্যে কে-বেশি আর কে কম আনি ঠিক করে উঠতে পারিনে। তারক, বলিয়া উঠিল-নিজের অন্তর তা’ হলে এখনও আপনি চেনেননি মা। রেণুর সঙ্গে রাজুদ্র কোনো তুলনাই হতে পারেনা। সবিতা বলিলেন- কেন বলোতো ?