পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳS শেষের পরিচয় সমস্ত বোঝা তোমার ঘাড়ে ফেলে দিয়ে আমি গড়ের মাঠের একটা বেঞ্চিন্তে শুয়ে রাত কাটিয়ে দিতাম। তাদের উদ্দেশে মনে মনে বললাম, আজি সে থাকলে তোমরা বুঝতে জুলুম করার সীমা আছে,-সকলের ওপরেই সব কিছু চালানো যায়না । সবিতা অধোমুখে নিঃশব্দে বসিয়া রহিলেন। সেদিনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিবার সাহস তাহার হইলন । রাখালও তেমনি নিৰ্ব্বাক স্তব্ধ হইয়া রহিল। ব্ৰজবাবু নিজে হইতেই ইহার অধিক ভাঙিয়া বলিলেননা । মিনিট দুই তিন সকলেই চুপ করিয়া থাকার পরে রাখাল বলিল, কাকাবাবু, আজ। আপনাকে বড় ক্লান্ত দেখাচে । ব্ৰজবাবু বলিলেন, তার হেতুও যথেষ্ট আছে রাজু। এই ছ’-সাত দিন কারবারের কাগজ-পত্ৰ নিয়ে ভারি খাটুতে হয়েছে। রাখাল সািভয়ে জিজ্ঞাসা করিল, সব ভালো ত কাকাবাবু? ব্ৰজবাবু বলিলেন, ভালো একেবারেই নয়। সবিতাকে উদ্দেশ করিয়া বলিলেন, তোমার সেই টাকাটা আমি বছর খানেক আগে তুলে নিয়ে ব্যাঙ্কে রেখেছিলাম, ভেবেছিলাম। আমার নিজের কারবারের চেয়ে বরঞ্চ এদের হাতেই ভয়ের সম্ভাবনা কম। এখন দেখচি ঠিকই ভেবেছিলাম । এখন এর ওপরেই ভরসা নতুন-বো, এটা না নিলেই এখন নয়। সবিতা এবার মুখ তুলিয়া চাহিলেন, বলিলেন, নিলে কি নষ্ট হবার ভয় আছে ? আছে বই কি নতুন-বেী,-বলা তো যায়না। সবিতা চুপ করিয়া রছিলেন। ব্ৰজবাবু কহিলেন, কি বলে নতুন-বেী, চুপ করে রইলে যে ? সবিতা মিনিট দুই নিরুত্তরে থাকিয়া বলিলেন, আমি আর কি বলবো