পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8S শেষ প্রশ্ন বহাল করিয়াছিল। এ-ছাড়া আর কোথাও কোন মার্জনা ছিলনা। ছেলেদের খালি-পা, রুক্ষ মাথা,–পাছে কোথাও কোন ছিদ্র-পথে বিলাসিত অনধিকার প্রবেশ করে সেদিকে সতীশের অতি সতর্ক চক্ষু অনুক্ষণ প্রহরা দিতে লাগিল। মোটামুটি এই ভাবেই আশ্রমের দিন কাটিতেছিল । সতীশের তো কথাই নাই, হরেন্দ্রর মনের মধ্যেও শ্লাঘার অবধি রহিলনা । বাহিরে কাহারো কাছে তাহারা বিশেষ কিছুই প্রকাশ করিতনা, কিন্তু নিজেদের মধ্যে হরেন্দ্র আত্মপ্রসাদ ও পরিতৃপ্তির উচ্ছসিত আবেগে প্রায়ই এই কথাটা বলিত যে, একটা ছেলেকেও যদি সে মানুষ করিয়া তুলিতে পারে তো এ জীবনের চরম সার্থকতা লাভ করিয়াছে মনে করিবে । সতীশ কথা কহিতনা, বিনয়ে মুখখানি শুধু আনত করিত। শুধু একটা বিষয়ে হরেন্দ্র এবং সতীশ উভয়েই পীড়া বোধ করিতেছিল। কিছুদিন হইতে উভয়েই অনুভব করিতেছিল যে রাজেন্দ্রর আচরণ পূর্বের মত আর নাই। আশ্রমের কোন কাজেই সে আর গা দেয়না, সকালের সাধন-ভজনের নিত্যকৰ্ম্মে এখন সে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে, জিজ্ঞাসা করিলে বলে শরীর ভাল নাই। অথচ, শরীর ভালো-না-থাকার বিশেষ কোন লক্ষণও দেখা যায়না । কি তাহার নালিশ, কেন সে এমন হইতেছে প্রশ্ন করিয়াও জবাব পাওয়া যায়ন । কোনদিন হয়ত প্রভাতেই কোথায় চলিয়া যায়, সারাদিন আসেন, রাত্রে যখন বাড়ী ফিরে তখন এমৃনি তাহার চেহারা যে কারণ জিজ্ঞাসা করিতে হরেন্দ্ররও"সাহস জুয়ন। অথচ, এ সকল, একান্তই আশ্রমের নিয়ম-বিরুদ্ধ। এক হরেন্দ্র ব্যতীত সন্ধ্যার পরে’কাহারে বাহিরে থাকিবার যো নাই এ কথা রাজেন ভাল করিয়াই জানে, অথচ গ্রাহ করেনা। আশ্রমের সেক্রেটারি সতীশ, শৃঙ্খলা রক্ষার ভার