চারু। আপনার এলবম্টি নেলির কাজে লাগ্বে। এই দেখুন না, মিষ্টার নন্দী ওকে তাঁর সই করা ফোটো পাঠিয়ে দিয়েচেন।
সতীশ। হাঁ, তাই তো দেখ্চি। আমার কিন্তু বিশেষ কাজ আছে, আমি যাই। আর দেখুন্, এখনকার মতো এই এল্বম্টা আমি নিয়ে যাচ্চি—তার পরে—
চারু। কী ক’র্বেন?
সতীশ। না, ওটা—একবার—একটুখানি ঐ—আপনি দয়া করে নেলিকে ব’ল্বেন যে, বিশেষ একটু কারণে এখনকার মতো—তার পরে আবার—এখন যাই—কাজ আছে। (প্রস্থান)
চারু। যাক, বিদায় করে’ দেওয়া গেলো। মা গো, কী টাই পরেই এসেচে! এল্বম্টাও গেলো। এই যে মিষ্টার লাহিড়ি, শুনে যান, সুখবর আছে, বক্শিস্ চাই।
নেপথ্যে। একটু পরেই যাচ্চি, আমার বাট্ন হুকটা খুঁজে পাচ্চিনে।
সতীশকে লইয়া নলিনীর প্রবেশ
চারু। ও কি, নেলি, তোর ভালো করে’ তো সাজা হ’লো না।
নলিনী। হঠাৎ কোতোয়ালি ক’র্তে হ’লো। ড্রেসিংরুমের জানলা দিয়ে দেখি চোর পালাচ্চে একটা মাল বগলে নিয়ে, তখনি নেমে গিয়ে বমাল সুদ্ধ গ্রেফতাব করে’ নিয়ে এসেছি।
চারু। বাস রে, কী কড়া পাহারা? মালটা কি খুবই দামী, আব চোরটাও কী খুবই দাগী?
নলিনী। (সতীশকে) তুমি এসেই তখনি পালাচ্চিলে যে, আর আমার একখানা এল্বম্ নিয়ে? (সতীশ নিরুত্তর)