পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রসর হইতে পারিতেছে না। পূর্বদিকে সাভারের রাঙ্গা মাটির পার হইতে নদীর গর্ভে প্ৰায় এক মাইল পৰ্য্যন্ত সাভারের রণতরী, মাঝে ফাক, তাহার পর আবার এক মাইল ব্যাপিয়া বাজাসনের নৌবাল । “জয় বদর !” বলিয়া বাঙ্গালী নৌ-সৈন্য হাকিতেছে। বলিয়া যুদ্ধ-ধ্বনি করিতেছে। কাহারও মাথার খুলি, কাহারও হাত-পা ভাঙ্গিতে চু, কিন্তু তাহাতে তাহাদের গ্রাহা নাই। একটি সৈন্যের বামহস্ত কামানের গোলায় উড়িয়া যাইতে যাইতে একটু খানি ত্বকে মাত্র আটকাইয়া রহিল। সেই সৈন্য ডান হাত দিয়া বাম হাতটা ছিড়িয়া ফেলিয়া একহস্তেই যুদ্ধ করিতে লাগিল। তাহারা রণোন্মাদনায় মাতিয়াছে, তাহারা যেন সিদ্ধপুরুষ ও যোগীর ন্যায় দৈহিক সুখ-দুঃখের উদ্ধে উঠিয়াছে। এদিকে যুবরাজ, সেনাপতি ও শ্যামল—তিনজন বহু সৈন্য । লইয়া তিনটি “মধুকরে” থাকিয়া এক একটি “গোধুয়া” ডিঙ্গিতে যুদ্ধ নিয়ন্ত্ৰণ করিতেছেন। ‘গোধুয়া” ডিঙ্গির সমস্ত অংশ মহিষের চৰ্ম্মাবৃত ; নৌবাহিকদিগের বৈঠা ও হাল চালনার জন্য স্বল্প-পরিসর ফাফ আছে এবং উহাদের উদ্ধে বক্রাকৃতি চিমনি’ রৌদ্র ও হাওয়ার চলাচল ঠিক রাখিতেছে। মহিষের চৰ্ম্মের উপর কর্দমাক্ত মাটি এবং তাহার উপর গণ্ডারের চৰ্ম্ম! “গোধুয়া” গুলিতে একটুও কাঠ নাই-সমস্তই বেতের নিৰ্ম্মিত ; সেই বেতের উপর চৰ্ম্মের ছাউনি। বিপক্ষের গুলি কাচিৎ সেই গণ্ডারের চৰ্ম্মাবরণ ও কর্দমের “প্ৰলেপে প্ৰবেশ করিতে পারে । তাহার পরও মহিষের চৰ্ম্ম আছে। ର 8