পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

吻f环可e夺两可 কুমার যেন মৃত যুবরাজের সেই শতদল সুন্দর কোমল মুখমাধুরী কিছুতেই ভুলিতে পারিলেন না, কেবলই তাহার চক্ষু দু’টি অশ্রুপূর্ণ হইতে লাগিল।—“যুদ্ধ কি অশুভ, কি পৈশাচিক ব্যাপার, ইহা প্ৰত্যক্ষ না করিলে কিছুতেই আমি বুঝিতে পারিতাম না ।” সেইদিন কুমারের মনে যে বৈরাগ্যের উদয় হইল, তাহা শেষ পৰ্য্যন্ত সমানভাবে তাহার সমস্ত প্ৰকৃতি ও ব্যবহারকে সংযম-মণ্ডিত ও নিয়ন্ত্রিত করিয়াছিল । সন্ধ্যাকালে একজন গুপ্তচর আসিয়া যুবরাজকে অতি সন্তৰ্পণে জানাইল-“যুবরাজ বিশ্বনাথ আগুনে পুড়িয়া মরেন নাই। র্যাহার রাজবাড়ীর বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ অবগত আছেন, তঁহাদের একজন জানাইয়াছেন যে, কুমার অনায়াসে তোরণ দ্বার দিয়া নিশ্রুগান্ত হইতে পারিতেন, কিন্তু দুষ্ট লোকেরা একধার হইতে লৌহ-দণ্ড দ্বারা পতনোদ্যত তোরণটা তাহার শরীরের উপর ফেলিয়া দিয়াছে।” যুবরাজ-“কুমারের জন্য শোক ত দেখছি সাৰ্ব্বজনীন। এই লোকদের মধ্যে আমাদের দলের কি কেহ ছিল ? যিনি নিজের প্ৰাণের আশা বিসর্জন করিয়া আৰ্ত্তদিগকে ত্ৰাণ করিতে গিয়াছিলেন, সেই সদাশয়তার মূৰ্ত্তিমান দেবতাকে যদি আমাদের কেহ হত্যা করিয়া থাকে, তবে আমি তাহার প্রাণ-দণ্ডের আদেশ দিব।” । গুপ্তচর-“যুবরাজ, আপনার এই সন্দেহ অমূলক। বাজাসনের কোন লোক এই গাঁহিত কাৰ্য্য করে নাই।” So 8