পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . c এদিকে সিংহপুরে (সিন্ধুরে) বিষ্ণুর মন্দিরে থাকিয়া সেই বালকবেশী বধু ও শ্যামল বনে বনে ঘুরিয়া বেড়ায়। তাহারা যেন সেই দেশের বন-দেবতা। উভয়ের রূপমাধুরী দেখিয়া বাতাস যেন প্ৰসন্নভাবে বহিতে থাকে, কােকিল ডাকিয়া উঠে, তাড়াগে পদ্ম প্ৰস্ফুটিত হয়। এ সকল স্বাভাবিক দৃশ্য তো নিত্যই হয়। কিন্তু দম্পতির মনে হয়, যেন তাহাদেরই জন্য প্ৰকৃতি দেবী উৎসব করিয়াছেন। উভয়ের হাসি উভয়ে নিত্যই দেখেন, কিন্তু তাহা । ফুলের মত একদিন পরে বাসি হইয়া যায় না, নিত্যই নৃতন। একদিন কজ্জল বলিল,-“প্রথম যেদিন তোমাকে আমি দেখিলাম, সেই দিনই আমার মনে যেন পুষ্প-বৃষ্টি হইল। সেই দিন হইতে এই মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত একটি দিনও তোমার কাছ-ছাড়া হইতে ইচ্ছা হয় নাই। যে তিনটি দিন তুমি দূরে থাকিতে, এবং আমাকে এড়াইয়া যাইতে, সেই তিন দিন আমার আহার-নিদ্রা চলিয়া গিয়াছিল। মনে হইত, যেন আমার মাথার মূল্যবান মুকুটটি কেহ কাড়িয়া লইয়া গিয়াছে, আমার জীবনের প্রয়োজন নাই।” । শ্যামল বলিল—“আমরা সাভার হইয়া বাজাসনে যাইব । যুদ্ধকালে একটি বৎসর আমরা তোমাদের অঞ্চলে ছিলাম ; তখন একটু অবসর পাইলেই আমি শিশুপালের গড়ে যাইতাম। কতদিন - SV9) Σ Σ