পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষ্ণুদাশ ফৌজদার শুধু রাজদরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত ছিলেন না, তিনি বল্লাল-প্রদত্ত কৌলিন্য প্ৰাপ্ত ৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম পন্থদাশের বংশধর ছিলেন। বল্লালের সময়ে নানা কারণে কৌলিন্য বাধা প্ৰাপ্ত হইয়াছিল; কিন্তু তাহার মৃত্যুর পর লক্ষ্মণ সেনের দ্বৗদ্ধ মুসলমান বিজয়ের অনতিকাল পরে বাঙ্গালা দেশে কৌলিন্য সুপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তখন কুলীনদের সামাজিক সম্মান রাজা-মহারাজদের মত ছিল। বিষ্ণুদাশ। ফৌজদারের মত সমাজপূজ্য, রাজদরবারে বিশিষ্ট-পদ-প্রাপ্ত ব্যক্তি কি জন্য বালিনছি শ্ৰীখণ্ড প্ৰভৃতি রাঢ় অঞ্চলের সমৃদ্ধ পল্পী ও মৰ্য্যাদাপন্ন জ্ঞাতিদিগকে ছাড়িয়া পূর্ব বঙ্গের এক কোণে আসিয়া বাস স্থাপন করিলেন, প্ৰথমেই এই সমস্যাটির কথা মনে উদয় হয়। দেখা যায়, যে সময় বিষ্ণুদাশ সুয়াপুরী গ্রামে আসিয়া বাস করেন, সে সময় মুসলমানেরা সবেমাত্র পূর্ববঙ্গ বিজয়ের অভিযান করিয়াছেন। বৈশ্বােনর গোত্রের রাজাদের সঙ্গে মুসলমান গাজিদের যে সংঘর্ষ হইয়াছিল, তাহার কিছু কিছু প্ৰমাণ আছে। ” একখানা কুঠােরাহত কৃষ্ণ পাথরের বাসুদেব মুক্তি সেই রাজাদের বাড়ীর সন্নিহিত পুকুরে পাওয়া গিয়াছে; তাহা অধুনা রোয়াইল গ্রামে অভয় চক্ৰবৰ্ত্তীর বাড়ীতে আছে। ইহা ছাড়া প্রস্তরের স্তম্ভের ভাঙ্গা এক অংশ সেই দীঘিতে পাওয়া গিয়াছে। পূর্বে 4, সুয়াপুরের দক্ষিণে কানাই নদ বহিয়া যাইত, কানাই ও বংশাই নদ ধলেশ্বরীর শাখা। সম্প্রতি তটভূমি ভাঙ্গিয়া ধলেশ্বরীর সঙ্গে কানাই নদ মিশিয়া গিয়াছে। কিন্তু বহুকাল পৰ্য্যন্ত কানাই নদী গাজিদের প্রদত্ত “গাজিখালি” নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু রেণেলের