পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল মন্ত্রী ভাবিলেন, মহারাজ প্ৰবীণ, আজ যদি ইহার বয়ঃক্রম চল্লিশের কোঠায় থাকিত তবে তিনি বাজাসনের অধ্যাক্ষের এই দম্ভ সহা করিতে পারিতেন না। রাজা “যে সহে, সে রহে” নীতি পালন করিতেছেন। 豆否

  • “স্বচাগ্ৰেণ স্বতীক্ষ্মেণ ভিন্ততে যা চ মেদিনী।

। তদদ্ধং নৈব দাস্যামি বিনা যুদ্ধেন কেশব ।” . . . " - }\ আমরা ইহার পূর্বে লিখিয়াছি, একদা সন্ধ্যার পর রাজা মহেন্দ্র সেন তাহার একখানি সুশোভিত প্রকোষ্ঠে বসিয়াছিলেন। সেই গৃহের নানাবর্ণের কাচসমন্বিত ঝালারে বাতির আলো প্রতিবিম্বিত হওয়াতে একটা স্নিগ্ধ নীল দীপ্তি খেলিতেছিল। সেই আলোক পার্শ্বস্থ দেয়ালের পঞ্চধ্যানী বুদ্ধ ও বিক্ষোভ্যের মুক্তির উপর তরঙ্গিত হইতেছিল। দ্বারের এক কোণে প্ৰতিহারী মণিময় দণ্ড, উজ্জল স্বর্ণের তকমা ও শ্বেত মসলিনের উপর স্বর্ণমণ্ডিত রক্তাশ্বরের টোপর পরিয়া দাড়াইয়াছিল। . রাজার নিকট মন্ত্রী উপবিষ্ট । মন্ত্রী বজ্ৰধ্বজ কৈবৰ্ত্তজাতীয়, বয়স চল্লিশের নীচে,-প্ৰতিভাময় চক্ষু দুটি দীপ্ত ; দেখিলেই বোধহয় র্তাহার চেহারা হইতে তেজ ফুটিয়া বাহির হইতেছে। GS