পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল রাজা বলিলেন-“বাজাসনের রাজার দূতস্বরূপ সেনাপতি সর্দার শৈবাল রায় কি আসিয়াছেন ?” মন্ত্রী বলিলেন,-“তিনি বহুক্ষণ যাবৎ বিশ্রামাগারে প্রতীক্ষা করিতেছেন।” রাজা বলিলেন-“ইনি প্ৰতিবেশী রাজা । উত্তর হইতে কম্বোজিয়া ও কিরাতেরা আমাদের রাজ্যের নানাদিক সুবিধা পাইলেই লুণ্ঠন করে ও হুমকী দেখায়। ভাবিয়া দেখ, এই বৈশ্বানর গোত্রীয় বাজাসনের রাজারা আমাদের জ্ঞাতি ; ইহাদের সঙ্গে এই সময় লড়াই করা কখনই সমীচীন নহে। নিজেরা নিজের ঝগড়া করিয়া এ সময় বলক্ষয় করা কি উচিত ?” মন্ত্রী—“মহারাজ, আপনি অশীতিপর বুদ্ধ; আপনার তেজ বিক্রম জুড়াইয়া গিয়াছে। আপনার আদেশে আমরা কিছুতেই বাজাসনের কাছে মাথা হেঁট করিতে পারিব না। যুবরাজও রফি। করিতে নারাজ। তিনি বলেন, ধামরাই গ্রামে আমাদের যে সঙ্খারাম আছে, তাহা ভিন্ন-পন্থী। ঐ সঙ্ঘারামের কর্তৃত্ব আমরা বাজাসনের চীনা আচাৰ্য্যকে ছাড়িয়া দিব না। এথাকার আচাৰ্য্য শান্তশ্ৰী কিছুতেই ঐ তান্ত্রিক গুরুর অধীনতা স্বীকার করিবেন না ।” মন্ত্রী বজধ্বজ কৈবৰ্ত্তজাতীয়, তাহ পূর্বেই বলিয়াছি। তিনি যৌবনের সীমা একবারে অতিক্রম করেন নাই। বিশেষতঃ তিনি যুবরাজের শ্বশুর। সুতরাং মন্ত্রীরা যেরূপ চিরকাল সন্ত্রম ও বিনয়ের সহিত রাজার সঙ্গে ব্যবহার করিতেন, ইহার কথাবাৰ্ত্তা ও R