পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল নূতন গড়ন দিয়াছেন এবং পূজাপদ্ধতিও বদলাইয়া ফেলিয়াছেন। কিন্তু এই সজারামটির পূর্বাপর ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখা যাইবে যে, উহাতে সর্বপ্রকার আমাদের অধিকার রহিয়াছে। বিশেষতঃ যখন মহারাজ দুৰ্জয় সেন অৰ্দ্ধশতাব্দী পূর্বে নিবুর্চ স্বত্ত্বে উহার অধিকার আমাকে দিয়া নিজেদের দাবী ত্যাগ করিয়াছেন এবং তদবধি আমরাই উহা দখল করিয়া অনুষ্ঠান ও ধৰ্ম্মের বিধিব্যবস্থা আমাদের মত করিয়া লইয়াছি, তখন তোমরা কি করিয়া দত্তাপহারী হইতে চাহিতেছ ? বাজাসনের তান্ত্রিকদের হাতে এই মঠ চলিয়া গেলে সেখানকার শ্রমণদিগকে বিদায় করিয়া দিতে হইবে এবং আমাদের সর্বপ্রকারে সেবাপরাধী হইতে হইবে।” সেনাপতি—“স্বামিন, এসকল কথাই আমি বুঝি । কিন্তু আপনি জানেন, আমাদের তো কথাই নাই মহারাজ স্বয়ং বাজাসনের কোন অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করিতে পারেন না । তথাকার আচাৰ্য্যের অনুশাসন আমাদিগকে সর্বতোভাবে মানিয়া লইতে হইবে ; এবিষয়ে বুঝিয়াও আমাদের কিছু করিবার সাধ্য নাই। কিন্তু স্বামিন, আপনার তান্ত্রিক নহেন, সংযম আপনাদের ব্ৰত। যখন শাসনসংক্রান্ত কোন প্রশ্ন বা সীমানা লইয়া বিতর্ক উপস্থিত হয়, তখন তীর, ধনু, বন্দুক প্রভৃতির বলে আমরা সে সমস্তার সমাধান করিয়া থাকি। কিন্তু ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় সমস্ত ব্যাপারে আপনারাই প্রধান। সাভার রাজও সম্পূর্ণরূপে আপনার উপরে বিষয়টির মীমাংসার ভার দিয়াছেন । ধৰ্ম্মসংক্রান্ত একটি ক্ষুদ্র