পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল পতিত ভূমিতে ও জঙ্গল কাটিয়া তোমাদের উপনিবেশের সুবিধা করিয়া দিব। এ দিকে তুকীরা পশ্চিম-বঙ্গ দখল করিয়া, এদেশে আসিতেছে, উত্তর দিক হইতে গাজীদের হুঙ্কার শুনা যাইতেছে ; ভাটীতে শিলাদিত্য ও কুমারী শিলাবতী যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিযাও তাহাদের প্রজাদিগকে রক্ষা করিতে পারেন নাই, দলে দলে হিন্দু ইসলাম গ্রহণ করিতেছে। এখন হিন্দুদের সঙ্ঘশক্তির দরকার । যাহার একটা বড় জাতিকে ভাঙ্গিয়া কাচখণ্ডের মত শত টুকরা করিয়া ফেলিবেন, তাহারা ভেদ নীতি দ্বারা প্রজাদের যে দুৰ্দশা ঘটাইবেন, অচিরে তাহদের সেই সকল ফল ভোগ করিতে হইবে।” সেনাপতি—“স্বামিন, আমরা আমাদের রাজাকে ত্যাগ করিতে পারিব না ।” শাস্তাচাৰ্য্য—“তোমাদের এই অবশ্যম্ভাবী দুৰ্গতির কোন প্ৰতিকার করিবে না ?” সেনাপতি-“স্বামিন, প্রথমতঃ আপনি কণোজিয়া ঠাকুরদের যে ছবি আঁকিলেন, তাহা ঠিক নহে। তাহারা সম্পূর্ণ ভোগবিমুখ ও নিষ্ঠাবান, তঁহাদের ভক্তি দেখিলে আপনারও শ্রদ্ধা হইবে। তঁহারা নিঘুণ, অপক্ষপাতী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পত্তিকে তৃণবৎ অগ্ৰাহা করিয়া কেবল জপ তপ লইয়া থাকেন। রাজা-প্ৰজা তঁহাদের কাছে এক-পরের ইষ্ট ভিন্ন তাহারা কখনও অনিষ্ট করেন না। র্তাহারা অযাচক-বৃত্তি,-কাহারও দান গ্ৰহণ করেন না। কেহ কিছু দিলে খান, নতুবা খান না। তঁহাদের \ხტNo9