পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gभवन 6 कष्ठ দুশ্চর তপস্যা ও উপাসনাদি আপনি দেখিলে বিস্মিত হইবেন। ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐশ্বৰ্য্য-ধৰ্ম্মের দান লইয়াই তাহারা আসিয়াছেন। তঁহারা আচার প্রতিপালন করেন, এই আচার পালনের জন্যই তঁাহারা আচাৰ্য্য। ধরুন, যদি কেহ একটা বহুমূল্য মণি পায়, তাহা সে কত যত্ন-সহকারে রক্ষা করে দু-পাছে কোন মলিনতার ছোয়াচ লাগিয়া তাহার গৌরব হ্রাসপ্রাপ্ত হয়; এই আশঙ্কায় সে সাবধান থাকে। উৎকৃষ্ট সঙ্গীত বিদ্যা বিশারদ যেরূপ তাহার কণ্ঠের আওযাজ ঠিক রাখিবার জন্য আহার-বিহারে সর্বদা সতর্ক থাকেন, তাহারাও তঁহাদের জীবন ও চরিত্রের উপর পরকীয় দূষিত প্রভাব না পড়ে, সেইজন্য সর্বদা সতর্কদূষ্ট। উৎকৃষ্ট বীণাষন্ত্রের তারগুলি বাদক এরূপ ভাবে বাধিয়া রাখেন যে, কোন জায়গা একটু শিথিল হইলে, সেই বীণা দ্বারা আর সঙ্গত হয় না। তঁহাদের সমস্ত চেষ্টাই আদর্শ ধৰ্ম্ম বজায় রাজার জন্য, বাহিরের জড়বাদীদের সংস্পর্শে র্তাহারা এজন্য ভীত । রাজ্য গেল কি রহিল, তাহাতে তঁহাদের কি ? তাহার রাজ্যকামী নহেন। ভারতবর্ষ কোনদিন ভোগসুখী হইয়া ঈশ্বরকে ভুলে নাই, এজন্য দুস্ক্রিয়া, নিজের ভ্রাতার গলায় ছুরি, পরস্পরকে হন।ণ ইত্যাদি কাৰ্য্যে জগতের লোক রত হয়, ইহা তাহারা চাহেন না। এই ভারতবর্ষের প্রধান বন্ধন ইন্দ্ৰিয়-বন্ধন। কেহ হাত, পা বঁধিলে তাহার স্বাধীনতা লুপ্ত হয় না, কাহারও সম্পত্তি নষ্ট হইলে তাহার প্রকৃত সম্পদ যায় না । যাহা চিরন্তন, যাহা জীবনমরণের সঙ্গী, যাহার প্রভায় আত্মা পুণ্যালোকে জ্যোতিষ্মান হ’ন, 8و&