পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কােজজুল চীৎকার দিয়াই অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছেন। মন্ত্রী বলিলেন,- “আমি ছোটরাণীর ঘর হইতে বাহির হইয়া যাইব, এমন সময় এই মহালে চীৎকার শুনিয়া আসিয়া দেখি ইনি অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া ছটফট করিতেছেন। তজ্জন্য চােখে-মুখে জল সিঞ্চন করিতেছি।” মহারাণী বলিলেন,-কি জানি বাপু, ইহার একি লীলা খেলা ! এখানে সুরক্ষিত রাজবাড়ীর মধ্যে ভূত, প্ৰেত, দৈত্য, দানা কে আসিবে জানি না। যাহা হোক ইহার জ্ঞান হইয়াছে, ঐ দেখ ঘোমটা টানিয়া দিয়াছেন। উহাকে ঘরে পালঙ্কে শোওয়াইয়া দুইজন পরিচারিক হাওয়া করিতে থােক। ঘুম যদি না হয়, তবে রাজবৈদ্য শিবদাসকে খবর দিও। বেহাই মহাশয়, এত রাত্রে আপনার কি দুৰ্দৈব ! আপনি বাড়ীতে যান, আর এখানে রাত্রি জাগরণ করিয়া ক্লান্ত হইবেন না।” তাহার পরদিন স্বর্ণমঞ্জরী সারাদিন বসিয়া ভাবিলেন, তাহার কৰ্ত্তব্য কি। দশচক্রে ভগবান ভূত। এই মন্ত্রী যেরূপভাবে রাজ-অন্তঃপুরে আসন গাড়িয়া বসিয়াছে, তাহাতে আমার সত্যোক্তি ও প্রতিবাদের কোন মূল্যই থাকিবে না। অবশেষে জাতিধৰ্ম্ম খোয়াইয়া আমাকে সকলই বহন করিতে হইবে। আমার ত প্রাসাদে স্থান নাই,-যুবরাজের সঙ্গে সঙ্গে আমার সকল দাবী-দাওয়া চলিয়া গিয়াছে। সুতরাং আমাকে আজই poe