ভূমিকা শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনার সংগ্ৰহ এই গ্রন্থ। এর মধ্যে বেশীর ভাগ নানা সময়ে ও সভায় তাঁর অভিভাষণ। ‘পঞ্চাশের মন্বন্তর’ নিবন্ধটি তাঁর ‘পঞ্চাশের মন্বন্তর’ গ্রন্থের অন্তগত, যা ঐ মন্বন্তরের কালেই প্রকাশিত হয়েছিল। “বাঙলার রঙ্গালয়’ প্ৰবন্ধটি শ্যামাপ্রসাদের এম-এ পরীক্ষার থিসিসের অন্যবাদ। ১৯২৪ সালের জানায়ারী মাসের দি ক্যালকাটা রিভিউতে লেখাটি ছাপা হয়। শ্যামাপ্রসাদের ব্যক্তিত্বের পৌরািষ ও তাঁর একাগ্র নিরলস কর্মজীবন দেশের গৌরবের বস্তু। শক্তি ও কমোদ্যমের মধ্যাহ্নে স্বাধীন ভারতবর্ষে এই দেশকমীর রাজবন্দীদশায় মাতুর শোক দেশের মনে অনিবাণ রয়েছে। শ্যামাপ্রসাদের জীবনের সপশ যাতে আছে দেশের লোকের তা প্রিয়। এই রচনাগলি তাঁর জীবনের গতির বেগে সপন্দমান। শ্যামাপ্রসাদ সাহিত্যিক ছিলেন না, ছিলেন বিচিত্র কমের নিম্ঠাবান প্ৰবল কমনী । এবং সে সকল রকম কমের উৎস ছিল তাঁর দেশপ্রীতি ও দেশকে বড় করার সংকলপ। সেই কারণে বিষবক্ষ’ ও ‘কপালকুন্ডলার বঙিকমের চেয়ে “বন্দে মাতরম’-এর বণ্ডিকম। তাঁর মনে উক্তজবলতর ছিল। ‘সত্য সত্যই দেশমাতাকে তিনি সকল দেবতার উপর আসন দিয়াছিলেন। তাঁহার নিকট হইতে আমরা যে আদশ ভাষা, অমল্য ভাব ও অপােব হইলেও, মনে রাখিতে হইবে, সে প্রতিভা তাঁহার প্রগাঢ় দেশপ্রীতির প্রভাবেই পরিচালিত হইয়াছিল।” শরৎচন্দ্রের সাহিত্যসান্টিতে মানষের জন্য বেদনাবোধই তাঁকে সবচেয়ে আকৃম্পট করেছিল। “ব্যথিতের জন্য এত অধিক বেদনাবোধ ছিল বলিয়াই তাঁহার সম্ৰাট সাহিত্যে তিনি মমতার ধারা ঢালিয়া দিতে পারিয়াছিলেন। এই অমাতধারার আসবাব্দনসখি যাহারা উপভোগ করিয়াছে, তাহারা শরৎচন্দ্রকে কখনও ভুলিতে পারে না।”
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/১১
অবয়ব