শ্যামাপ্রসাদের প্রবল ব্যক্তিত্ব সাহিত্যিকতার ছদ্মবেশ কখনও পরে নাই। তাঁর নিজের অনভূতিকে তিনি অকপটে ব্যক্ত করেছেন। ইংরেজীতে যাকে বলে statesman তার শ্রেষ্ঠ রপটি শ্যামাপ্ৰসাদের এই লেখাগলির ANGKUS ফটে &cC2 its T statesman তাঁরা কাজ করেন রাষ্ট্র ও সমাজের বাঞ্ছিত পরিবতনের জন্য। সেই পরিবতনের আদশ তাঁদের নিজের আবিস্কার নয়। যে চিন্তা ও ভাবের উপর তার প্রতিষ্ঠা তার জন্ম দেয়। অন্য শ্রেণীর লোক, চিন্তা ও ভাবের যাঁরা স্রম্পটা। যাঁরা বড় statesman এই চিন্তা ও ভাব তাঁদের কাজের প্রেরণা দেয়। এই চিন্তা ও ভাবের আদশকে রাস্ট্র ও সমাজে তাঁরা বাস্তবে গড়ে তোলার চেন্টা করেন। বাঙলা দেশে ও ভারতবর্ষে আধনিক কালের চিন্তানায়কদের রাষ্ট্ৰীয় ও সামাজিক চিন্তায় যা সব শ্রেষ্ঠ দান, শ্যামাপ্রসাদের মনের রন্ধে রন্ধুে সেগলি অনপ্রবিন্ট। এই লেখাগলি তার বড় প্রমাণ। এবং এই লেখাগলিই প্রমাণ যে, সে চিন্তাকে তিনি গ্রহণ করেছিলেন বাস্তবের রপদক্ষ কমনীর মন দিয়ে। দেশের দভাগ্য তাঁর অকালম,তুতে ভারতবর্ষ এই statesmanship-last পরিণতির ফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর ভারতবষের কিছ লোকের মধ্যে উদ্ধত সত্বদেশীয়ানার একটা আত্মকৃত কম্পমন্ডকেত্ব দেখা দিয়েছে। এ রকম এক মনোভাবের সমালোচনায় শ্যামাপ্রসাদের লেখা থেকে একটি তুলে দিচ্ছি। ১৩৫৫ সালের দিল্লীতে প্রবাসী বঙ্গ-সাহিত্য সম্মেলনের অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতির অভিভাষণ থেকে। “...জাতীয় জীবনে বিচ্ছিন্নতা এবং সংকীর্ণতাই মাতৃত্যু। সমস্ত জীবন এবং অগ্রগতি। পিছনে থাকিয়া সবদেশের সংস্কৃতিকে বিধিনিষেধের সংকীর্ণ প্রাচীরের মধ্যে আবদ্ধ রাখিতে চাহিলে আমরা শাধ আচলায়তনই গড়িয়া তুলিব। তাই বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের গতি অব্যাহত রাখিতে হইলে অন্য ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে যোগ রাখিতে হইবে, বিদেশের ভাবধারায়ও অবগাহন করিতে হইবে। এই জন্যই বাঙালীকে এখন পােবাপেক্ষাও অধিকভাবে ইংরেজী, ফরাসী ইত্যাদি বিদেশী ভাষার সঙ্গে পরিচয় রাখিতে হইবে। এতকাল bታ
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/১২
অবয়ব