পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশের মন্বন্তর ছিয়াত্তরে মন্বন্তরের ভয়াবহ সমাতি বাঙালী ভুলিতে পারে নাই। পঞ্চাশের মন্বন্তরও বাঙলার ইতিহাস চিরদিন মসীচিহ্নিত করিয়া রাখিবে। ১৭৬৫ খ্রীস্টাব্দের ১২ই আগস্ট ক্লাইভ ইসল্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নামে বাঙলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লইলেন। দেশে তখন যে অবস্থা চলিতেছিল, তাহা অরাজকতারই নামান্তর। নানা কতা-অসংখ্য শাসনবিধি। শোষণ পােরাদস্তুর তো চলিতেই ছিল, তাহার উপর অনাবমিট ও অলপবান্টির দরবন অজন্মা ও শস্যহানি ঘটিল। ইহারই অবশ্যম্ভাবী ফল মন্বন্তর (১৭৭o অবদ)। দেশ শমশান হইয়া গেল। ছিয়াত্তরে মন্বন্তরের কতকটা কৈফিয়ৎ চলিতে পারে—ইংরেজ যে শাসনমহিমার জগৎময় ঢাক্কা পিটাইয়া থাকে, মাত্র পাঁচ বৎসর কালের মধ্যে উহা তখনও দঢ়মলি হইবার অবকাশ পায় নাই। কিন্তু ১৯৪৩ খ্রীস্টাব্দে (১৩৫০ বঙ্গাব্দে) এরাপ কোন কৈফিয়ৎ চলিতে পারে না। পৌনে দাই শত বৎসরের অধিককাল দোদ “ড প্রতাপে শ্বেত-রাজত্ব চলিয়াছে। বিংশ শতাব্দী অজস্র সংযোগ-সবিধা মানষের হাতে আনিয়া দিয়াছে; বিজ্ঞান-দক্ষিণ্যে সমগ্র পথিবীর সঙ্গে আত্মীয়তা ঘটিয়াছে। এখনও দধের অভাবে কত ছেলে মায়ের কোলে মরিয়া গেল, মাসের পর মাস আমরা চোখে দেখিয়াছি। বাঙলার অসামরিক সরবরাহ-সচিব পঞ্চাশের মন্বন্তরের বারোটি কারণ দিয়াছিলেন, তাহা এইরপ (১) ১৯৪২ অব্দে আউশ ফসল ভাল হয় নাই। (২) ১৯৪২-৪৩ অব্দে আমন ধানও কম ফলিয়াছে। ܬܠ