(৩) মেদিনীপার ও ২৪ পরগণা জেলা বাত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন কম হইয়াছে। (৪) কীটের উপদ্রবে। ফসল নন্ট হইয়াছে। (৫) সরকারের নৌকা-নিয়ন্ত্রণনীতি চলাচলের বিঘা ঘটাইয়াছে। (৬) সমদ্রকল হইতে লোক-অপসারণের ফলে উৎপাদনের ক্ষতি হইয়াছে। (৭) ব্ৰহ্ম ও আরাকান হইতে আগত আশ্রয়প্রাথীরা ভিড় জমাইয়াছে। (৮) শিলপকেন্দ্রগলিতে ভিন্ন প্রদেশের মজার অনেক বাড়িয়াছে। (৯) ব্ৰহ্মদেশ হইতে চাউলের আমদানি বন্ধ হওয়ায় ঘাটতি পরণের উপায় হয় নাই। (১০) অনেক বিমানঘাটি তৈয়ারি হওয়ায় সেই সব জায়গায় চাষ হইতে পারে নাই। (১১) সামরিক লোকের সংখ্যা অনেক বাড়িয়া যাওয়ায় খাবার বেশি খরচ হইয়াছে। (১২) অন্যান্য প্রদেশ হইতে আমদানি কম হইয়াছে। ৪ঠা নভেম্বর (১৯৪৩) পালামেন্টে ভারত সম্পবন্ধে এক বিতক হইয়াছিল, তাহাতে ইনফ্লেশন বা মাদ্রাস্ফীতিকে পঞ্চাশের মন্বন্তরের অন্যতম প্রধান কারণ বলিয়া ধরা হইয়াছে। সরবরাহ-সচিবের বারো দফার মধ্যে ইহার উল্লেখমাত্ৰ নাই। সপ্যািটত তিনি গৌণ কারণগলির উপর জোর দিয়া আসল ব্যাপার চাপিয়া গিয়াছেন। সরকার-পক্ষ যাঁদ্ধের ব্যাপারে তাঁহাদের কেনা জিনিসের দাম দিতে গিয়া প্রচুর কাগজি-নোট বাজারে ছাড়িয়াছেন। যাহারা সরকারি কাজ করে, যাদ্ধের মালপত্র জোগান দেয়, কলকারখানায় নানাবিধ যাদ্ধদ্রব্য উৎপাদন করে, তাহারা সেই কাগজি-নোট অজস্র পরিমাণে পাইল ; তাহা দিয়া মহাসফতিতে জিনিসপত্র কিনিতে লাগিল। দেশের অধিকাংশ লোকই ইহার অনেক পাবে অপেক্ষাকৃত ভাল দাম পাইয়া মাল বেচিয়া দিয়াছে; ফাঁপানোমাদ্রার অংশ তাহদের হাতে পড়িল না। জিনিসপত্র তাহদের ক্রয়ক্ষমতার সীমা ছাড়াইয়া বহা দরে চলিয়া গেল। লক্ষ লক্ষ লোক না। RO
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/২৬
অবয়ব