কারণ হয়। বাঙলা হরফে হিন্দী বই প্রকাশিত হইলে তাহা বাঙালীর পক্ষে পড়া কঠিন হইবে না। ভারতের অনেকখানি জড়িয়া নাগরী লিপির প্রচলন। হিন্দী ছাড়াও বহন ভাষার পস্তক নাগরীতে মাদ্রিত হয়। সতরাং বাঙলা ভাষার বই নাগরী লিপিতে প্রকাশিত হইলে ভারতের বহর প্রদেশের সহিত আমাদের বৌদ্ধিক এবং সাংস্কৃতিক যোগ সাধিত হইবে। ভারতীয় সকল ভাষা এবং লিপি সম্পবন্ধেই এই কথা বলা চলে। তবে প্রথমে প্রধান প্রধান ভাষা এবং লিপি লইয়া পরীক্ষা আরম্ভ कढ़ाई उठान। ৩ । আমার সবাপেক্ষা বড় ব্যক্তি আমার নিজের এবং অন্যপ্রদেশীয় কয়েকজন বন্ধর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা। বস্তুতঃ যে ভাষার সহিত পরিচয় কথার তাৎপয সকলেই হৃদয়ঙ্গম করিতে পরিবেন। বাঙলা হরফে এ ধরনের কাজ কিছ কিছ হইয়াছে। কাঁথি নীহার প্রেস হইতে প্রকাশিত বাঙলা হরফে মাদ্রিত ওড়িয়া পাস্তকসমহের নাম এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। নাগরী লিপিতে মাদ্রিত একটি কবিতাসংকলন গ্রন্থে ভারতের বিভিন্ন ভাষার লোক-সংগীত, কবিতা এবং ছড়া সংগহীত হইয়াছে। উহার ভূমিকা, গ্রন্থ-পরিচয়, টীকা-টিপনী ইত্যাদি হিন্দীতে লিখিত। কিন্তু কবিতাসমহ যে ভাবে সংগহীত হইয়াছে সেইভাবেই মাদ্রিত হইয়াছে। তাহদের ভাষা কিছমাত্র পরিবতন করা হয় নাই, কেবল নাগরী লিপিতে ছাপানো হইয়াছে এই মাত্র। লিপির প্রসঙ্গে সর্বভাবতই রোমান লিপির কথা উঠিতে পারে; সেই-- জন্য এ সম্পবন্ধে দই একটি কথা আগেই বলিয়া রাখা আবশ্যক বোধ করি। এক রোমান লিপির দ্বারা ভারতের সকল ভাষা লেখার ব্যবস্থা করা সম্ভব হইলে সংবিধা অনেক হইত সন্দেহ নাই, কিন্তু দেখা গিয়াছে দেশ তাহা গ্রহণ করিবার জন্য এখনও প্রস্তুত হয় নাই। লিপি ভাষার বাহ্য চিহ্নমাত্র। এক চিহ্নের কাজ অন্য চিহ্নের দ্বারা যদি সহজে চলে, তবে চিহ্ন পরিবতনে আপত্তি করিবার কোনো কারণ নাই। যক্তির দ্বারা তাহা বঝিতে পারি। কিন্তু যক্তির দ্বারা তাহা বঝাইতে পারি না। কারণ, যক্তি যতই শাণিত হউক না কেন, সংস্কারের গায়ে সে সহসা 8Ꮼ
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৪৯
অবয়ব