বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচল; প্রাদেশিক বিভাগের দ্বারা সাহিত্যের ক্ষেত্রে বিভক্ত বা সীমাবদ্ধ হয় না বা করা যায় না। সকল সভ্যদেশেই ইহা স্বীকৃত। সাহিত্যের মানচিত্রে প্রান্ত-প্রত্যন্তের সীমারেখা অবলপ্ত। আজিকার সাহিত্য করি। প্রতিবৎসর আপনারা ভারতবষের নানা প্রদেশ হইতে সমাগত হইয়া এই সম্মেলনে জ্ঞানবিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে ভাবের আদান-প্ৰদান করেন। দীঘকাল এই বাৎসরিক সম্মেমলন ভারতে বাঙালী সমাজের বিস্তার এবং ঐক্যের পরিচয় দিয়াছে। নিজ প্রদেশের বাহিরে গিয়াও বাঙালী বঙ্গদেশকে ভোলে নাই, বাঙলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগ রাখিয়া তাহাকে বৈচিত্ৰ্য দানে সমদ্ধ করিয়াছে। বাঙলার সঙ্গে প্রবাসী বাঙালীর সহমামিতা সবাভাবিক এবং দীঘকাল ধরিয়াই বিদ্যমান রহিয়াছে। অদ্যুলেটর নানা ঘাতপ্রতিঘাতেও ইহা লিপ্ত হয় নাই। পাঁচ বৎসর পর্বে ১৩৫০ বঙ্গাব্দে এই দিল্লী-নগরীতেই প্রবাসী বঙ্গসাহিত্যের একবিংশতিতম অধিবেশন আহত হইয়াছিল। বাঙলা সেদিন মন্বন্তরে মন্মষ, ; লোভীর নিষ্ঠর লোভ ও বণ্ডিতের নিত্যচিত্তক্ষোভে সমগ্ৰ দেশ আলোড়িত। আজ ভারত সর্বাধীনতা অজািন করিয়াছে বটে, কিন্তু আজও বাঙালীর দদিনের অবসান হয় নাই। আজ বাঙলা খন্ডিত হইয়াছে। তাহার বহৎ এক অংশ ভারতের বাহিরে চলিয়া গিয়াছে। অগণিত বাস্তুহীন বাঙালীর যেন আজ ধরণীর কোলে কোথাও স্থান নাই। দভিক্ষ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিপীড়ন শেষ হইতে না হইতে বাঙালী আবার গহহীন সবাহারা হইয়া পড়িয়াছে। একদিক দিয়া দেখিতে গেলে আজ ছয় কোটি বাঙালীর অধিকাংশ প্রবাসী, কেবল প্রবাসী নহে। তাহারও অধিক,-রাষ্ট্র-ব্যবস্থায় বিচ্ছিন্ন। যে সমস্ত বাঙালী বাঙলার বাহিরো ভারতীয় রান্ট্রের অন্যান্য প্রদেশে বাস করেন, তাঁহাদের সঙ্গে বাঙলার যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব ও অপেক্ষাকৃত সহজ। কিন্তু পববঙ্গে ও উত্তরবঙ্গে যে অগণিত বাঙালী হইবে ? তাঁহাদিগকে লইয়া বাঙালী সমাজের যে সমগ্রতা তাহা রক্ষা করার কি কি ব্যবস্থা হইবে ? ইহা আমাদের সম্মখে এক প্রকান্ড 8