বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙালীর রাজনীতি যে শােধ শত্ৰক তকনিভাির নয়, তাহার প্রমাণ মিলিল যখন অসহযোগ আন্দোলন দেশবন্ধ চিত্তরঞ্জন দাশের মত কবিকেও গ্রাস করিয়া ফেলিল। রাজনীতির কঠোর জীবনের মধ্যে, স্বাধীনতার যজ্ঞে আত্মাহতির মধ্যে তিনি “সাগর সংগীত” শনিতে পাইলেন। সাহিত্য-সেবা দেশ-সেবায় পৰ্যবসিত হইয়া তাঁহার জীবন একটি সার্থক সন্দর সামহৎ কবিতায় পরিণতি লাভ করিল। শাধ দেশপ্রীতিই যে বাঙলা কাব্যে গান গাহিয়া উঠিয়াছে তাহা নয়, বাঙলা কাব্যের সরস্বতী বহস্যেরবিশিষ্পটা। কাব্য এবং কথাসাহিত্যে বাঙালীর কীতি লইয়া আমরা যথার্থই গর্ব অনভব করিতে পারি। কিন্তু যতদর অগ্রসর হইয়াছি তাহাতে গৌরব অনভব করিয়া সেখানেই থামিয়া যাওয়া জীবনের লক্ষণ নয়। বরং আমাদের কীতিতে কোথাও ফাঁক রহিয়াছে কি না সেদিকে দম্পিট রাখিয়া সেই ফাঁক পরিণ করিয়া নািতন নািতন সম্পভাবনার দিকে আমাদের অগ্রসর হইতে হইবে। এই প্রসঙ্গে আমাদের সাহিত্যের যে দিকটা অপেক্ষাকৃত দবােল তাহার উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করি। কাব্যের তুলনায় আমাদের প্রবন্ধসাহিত্য দরিদ্র ইহা অস্বীকার করা চলে না। অক্ষয়কুমার দত্ত, ভূদেব মখোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রামেন্দ্রসন্দর ত্ৰিবেদী, প্রমথ চৌধিরী প্রমািখ মনীষিগণ অতীতে প্ৰবন্ধ-সাহিত্য যথেষ্ট সমদ্ধ করিয়া গিয়াছেন সত্য এবং কাব্যের মত গগনস্পশী না হইলেও, প্ৰবন্ধ-সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের কীতি যে বিরাট ইহা সস্বীকার করিয়াও বলা যায় যে, বৈচিত্ৰ্য এবং প্রাচুয্যের দিক দিয়া বাঙলা প্ৰবন্ধ-সাহিত্য বতমানে আশানরাপ সমদ্ধ নয়। বাঙলা সাহিত্যে আজ পর্যন্ত যাহা কিছ উন্নতি হইয়াছে তাহা রাষ্ট্ৰশক্তির আনকল্যের অপেক্ষা রাখে নাই। কাজেই অবস্থা এবং পারিপাশ্বিকের দোষ দিয়া লাভ নাই। আমাদের স্থিরচিত্তে ভাবিয়া দেখিতে হইবে কি উপায়ে বতর্তমানে বাঙলা সাহিত্যের এই উপেক্ষিত অংশ বলিষ্ঠ করা যায়। যে প্রখর বাস্তবনিম্ঠা, গভীর মননশীলতা এবং বলিষ্ঠ চিন্তাশীলতা প্ৰবন্ধ-সাহিত্যের উৎকর্ষের মলে তাহার যথাযোগ্য অনশীলন আজকাল দেখা যাইতেছে না। বাঙলা সাহিত্যের যাঁহারা দিকপাল তাঁহাদের দন্টি এদিকে আকর্ষণ করি। আজ বাঙালী সমাজের সম্পমখে বিভিন্ন এবং বিচিত্র প্রকার কঠিন CtNS