কটকের অভিভাষণ [ নিখিল ভারত বঙ্গ-সাহিত্য সম্মেলন-১৩৫৯ ] আদ্যকার সভায় যে সম্পমানের আসন গ্রহণ করিবার জন্য আমাকে আপনারা আহবান করিয়াছেন, তাহা যে আমি নিঃসঙ্কোচে গ্রহণ করিয়াছি। এমন কথা বলিতে পারি না। আমি নিজে সাহিত্যিক নহি, প্রয়োজনীয়তা যে কি তাহা আমি বঝি। সেই কারণে সধীজনের অন্যরাগপািণ আহবানকে উপেক্ষা করিতে পারি নাই। এই সম্মেলনের কােজ সসম্পন্ন করিবার জন্য আপনাদের পণ্য সহযোগিতা কামনা করি। উড়িষ্যার রাজধানী কটক নগরীতে এই সম্মেলন আহবান করিয়া আপনারা সবিবেচনার কায করিয়াছেন। এই প্রদেশের সহিত বাঙলার ঘনিষ্ঠ সংযোগ আছে। ধম, কম, আচার-ব্যবহার, ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই দই প্রদেশের মধ্যে অনেকখানি ঐক্য রহিয়াছে। মহাপ্রভুর প্রেমের বন্যায় বাংলার সহিত উড়িষ্যাও প্লাবিত হইয়াছিল। সেই ভাবধারা আজও সন্সেপল্টভাবে জনগণের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করিয়া আছে। শ্ৰীগৌরাঙ্গের পদরেণ্যস্পশে এখানকার ধালিকণা পর্যন্ত পবিত্র হইয়াছে। ভেদাভেদ ও জাতিবিচারশন্য মহাতীৰ্থ শ্ৰীক্ষেত্ৰ ভারতের মিলনক্ষেত্র হইয়াছে। জীবাত্মার ও পরমাত্মার মহামিলন-মন্ত্রে এ দেশ পণ্যভূমি হইয়াছে। উড়িষ্যার নিজস্ব একটি ঐতিহ্য আছে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও তাহার দান কম নহে। কোনারক ও ভুবনেশ্বরের মন্দিরের স্থাপত্যশিলপ, পরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের শিল্পচাতুৰ্য প্রভৃতির তুলনা নাই। শিল্প ও স্থাপত্য-জগতে ইহারা বিস্ময়ের বস্তু। এই কটক নগরী বাঙলার তথা সারা ভারতের শ্রেদ্ঠ বীর সন্তান সভাষচন্দ্রের জন্মস্থান। পাঠান ও মোগল শক্তির আক্রমণ হইতে রাজনৈতিক 68
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৬০
অবয়ব