সেখানে ঐক্যও তেমনি গভীর ও সদঢ় হইতে পারে—এই ঐক্যই তাে জাতীয়তা।” কিন্তু দঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, এই সত্যবাণীর মম স্বাধীনতা লাভের পর আমরা অনেকেই আজ বঝিতে চাহিতেছি না। ভাবপ্রকাশের সাধারণ বাহনরাপে গড়িয়া উঠে, তাহার জন্য রাস্ট্রের পক্ষ হইতে যে নির্দেশ আসিয়াছে তাহা মানিয়া লইতে কাহারো। আপত্তি থাকা সমীচীন নহে। এই ভাষাকে প্রকৃত ভারতীয় রােপ দিতে হইলে ও সকলের কাছে বোধগম্য করিতে হইলে অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষায় ব্যবহৃত উপযক্ত শব্দাবলী সর্বাভাবিক ভাবে হিন্দীর অন্তগত করিতে হইবে। ইহার ব্যাকরণও সরল করা আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছে। তবে বিশ্বের সহিত যোগসন্ত্র রক্ষার জন্য এবং আমাদের শিক্ষা প্রসারের জন্য ইংরাজী ভাষা আমাদের ত্যাগ করা সমীচীন হইবে না। ইংরাজ এদেশ হইতে চলিয়া গিয়াছে বলিয়া তাহার ভাষাকেও এই দেশ ছাড়া করিতে হইবে, এমন কথা কোন শিক্ষিত ব্যক্তি বলিবেন না। বাঙলার যে সময়কার সাহিত্য-সম্পদ দেখাইয়া আমরা গব ও গৌরব প্রকাশ করিয়া থাকি, তাহার সন্টি পাশ্চাত্ত্য সাহিত্যের সহিত বাঙালীর পরিচয় না ঘটিলে সম্ভবপর হইত না। এই প্রসঙ্গে আর একটি দায়িত্ব আমাদের গ্রহণ করিতে হইবে। প্রত্যেক প্রদেশে নিজের প্রাদেশিক ভাষা শিক্ষা ছাড়াও ভারতের একাধিক প্রাদেশিক ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা হওয়া উচিত। অন্ততঃ যে সকল প্রাদেশিক ভাষার ঐতিহ্য আছে, বিস্তুতি আছে, ঐশ্বয এবং রস-মাধান্য আছে, সেই ভাষাগলি লইয়া কাজ আরম্ভ করা যাইতে পারে। এই আদশ অনযায়ী কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের বিভিন্ন ভাষাগলির পঠন-পাঠনের রীতি প্রায় ৩৫ বৎসর পর্বে প্রবতিত হইয়াছিল। আমার মনে হয় প্রত্যেক প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় যদি এই আদর্শ গ্রহণ করেন, তাহা হইলে শােভ ফলই পাওয়া যাইবে। প্রত্যেক প্রদেশেই কিছ না কিছ, অন্যান্য প্রদেশের লোক স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তাঁহারা যদি মাতৃভাষার চর্চা অক্ষশ্ন রাখেন এবং সভা-সমিতি ও সম্মেলনের মাধ্যমে সাহিত্য, শিলপ, সংগীত, প্রভৃতি পরিবেশনের ব্যবস্থা করেন, তাহা হইলে তাঁহাদের সব সব মাতৃ VS
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৬৭
অবয়ব