বাঙালী সাহিত্যসেবীদের সহায়তা, এবং বিত্তশালীদের দান সবসময়েই বিশেষভাবে কাম্য। সমিতির এই মহান কাযে অনপ্রেরণা যোগাইবার ভার বাঙালীমাত্রেরই লওয়া কতব্য। আজ যাঁহারা এই মহাসম্মেলনে সম্মিলিত হইয়াছেন, ভারতীয় সংস্কৃতি ও সাধনার অখন্ডরােপ প্রচার করিবার জন্য, সাংস্কৃতিক দন্তরপে এক নতন সংগঠনী শক্তিতে নতন ভারত গড়িয়া তুলিবার জন্য ক্ষেত্রকে তাঁহারা প্রসারিত করিয়া দিন। ভাষার দৈন্য ঘাচাইয়া নব নব শব্দ-সম্পদ সন্টি করিয়া সব সব ভাষাকে তাঁহারা শক্তিশালী করিয়া তুলন। বাঙলার সাহিত্যসেবীদের নিকটও আমি সেই নিবেদন জ্ঞাপন করিতেছি। অপরিমেয় প্ৰাণ প্রাচুয্যের দাক্ষিণ্যে তাঁহারা নািতন বাঙলা গড়িয়া তুলন। ভাষাকে তাঁহারা এমন রােপ দিন যাহাতে আপামর জনসাধারণের কাছে তাঁহাদের চিন্তাধারা ও সন্টিতত্ত্ব সহজেই পৌছাইতে পারে। বণ্ডিকমচন্দ্ৰ হইতে আরম্ভ করিয়া শরৎচন্দ্র পর্যন্ত অনেকেই ভাষার এই সহজবোধ্য রােপ যাহাতে ফটিয়া উঠে, তাহার জন্য পথ প্রদশর্তন করিয়া গিয়াছেন। আজ নতন সাহিত্য-পথিক ও চিন্তানায়কদের সেই কাজ হাতে লইতে হইবে। তবেই ভাষা সন্টির একটা সার্বজনীন সার্থকতা ফটিয়া উঠিবে। জনমনের সংস্পশে সাহিত্যকে নািতন রােপ দিতে পারিলে শিক্ষার আলোক চতুদিকে বিকীর্ণ হইয়া পড়িবে। তাহাতেই দেশের সত্যকার মঙ্গল সাধিত হইবে। কেবলমাত্র বাঙলাসাহিত্য সম্পবন্ধেই আমি একথা বলতেছি না, ভারতের বিভিন্ন ভাষার মাধ্যমে এই গণ-সংযোগ গড়িয়া তুলিতে হইবে। আজ সেই শভেদিন সমাগত—শভকাযে বিলম্ব ঘটিলে বিঘের সন্টি হয়। তাই এই শভলগ্নে আমাদের কম্পমাক্ষেত্রে নামিয়া পড়িতে হইবে। বঙ্গ-ভারতীর অপবর্ণ দান ও প্রেরণার কথা সমরণ রাখিয়া ভারতীয় অখন্ড সংস্কৃতির রাপ ও অতীত ঐশ্বয্যের চিত্র সম্মখে রাখিয়া ভবিষ্যতের গরিমা উক্তজবল দিকচক্রবাল জয় করিবার জন্য আমাদের অগ্রসর হইতে হইবে। আমার দঢ় বিশ্বাস, বিধাতার আশীবাদ আমাদের উপর বাষিত হইবে—আমরা জয়যক্ত হইব।—বন্দে মাতরম। V V
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৭২
অবয়ব