এককালে যে বাঙলাভাষা গঙ্গা, ব্ৰহ্মপত্র ও পদ্মার ত্রিস্রোতা শক্তিবেগ সম্পন্না হইয়া সারা বাঙলার চিত্তভূমিকে উদ্বারা ঐশ্বয শালিনী ও গরবিনী করিয়া তুলিয়াছিল রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের তিরোধানে সেই বাঙলা-সাহিত্যের দিকচক্রবাল কিছটা তমসাচ্ছন্ন হইলেও, তাহা স্থায়ী হইতে পারে না। যে ভাষায় প্রাণশক্তির প্রাচুর্য আছে, শক্তি, সাধ্য ও সাধনা আছে তাহার মাতৃত্যু হইতে পারে না। নাতন সাহিত্যসাধকদের আবিভাবে, তাঁহাদের তপস্যার প্রভাবে এই ক্ষণস্থায়ী অন্ধকার অচিরেই বিদ্যুরিত হইবে। অমিত প্ৰাণশক্তির সঞ্জীবনী ধারায় মর্যাগাঙে। আবার বান ডাকিবে। সেইসব শক্তিধর সাহিত্যসাধকদের আবিভােব প্রতীক্ষায় আমাদের আজ তাই নাতন করিয়া সাধনার পgপ্ৰদীপ জবালাইয়া বঙ্গসরস্বতীর মন্দিরকে আলোকিত করিয়া তুলিতে হইবে। নতন নাতন ভাব-প্রবাহে, বিষয়বস্তুর বিচিত্র সম্ভারে, চিন্তার রাজ্যে নব নব উদ্ভাবনীশক্তিতে দেবীর অঘ্য-উপচার সাজাইয়া তুলিতে হইবে। নতন নািতন সংকীর্ণতা, সবার্থপরতাকে বজন করিয়া উদার দস্টিভঙ্গি লইয়া আনন্দমলক সাহিত্যের পাশাপাশি জ্ঞানমািলক ও শিক্ষামলক সাহিত্যের পরিধি বিস্তারে যত্নবান হইতে হইবে। তাহা না হইলে আমাদের নবলব্ধ স্বাধীনতার ভিত্তি সদঢ় হইয়া উঠিবে না। বাঙলার বাহিরে যেখানেই বঙ্গসন্তান থাকুক না কেন, তাঁহাদের একটি বড় দায়িত্ব প্রতিপালন করিতে হইবে। এক দিকে সেই প্রদেশের ভাষা তাঁহাদের শিখিতে হইবে, সেখানকার সখদঃখের সমভাগী হইতে হইবে, অপর দিকে বাঙলা ভাষায় পঠন-পাঠন, আলাপ ও আলোচনা যাহাতে সম্ঠােরাপে চলে, সেদিকে তাঁহাদের দটি সন্দা-জাগ্রত সৈনিকের মত রাখিতে হইবে। অত্যন্ত সখের ও আনন্দের বিষয় যে, নিখিল ভারত বঙ্গভাষা প্রসার সমিতি এই বিষয়ে প্রশংসনীয় কাজ করিতেছেন। এই কমিতির চেন্টায় বঙ্গের বাহিরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙলা পঠন-পাঠন ও আলোচনার কিছ কিছ ব্যবস্থা হইয়াছে। বোম্বাই, দিল্লী, এলাহাবাদ, কাশী হিন্দ বিশ্ববিদ্যালয়, পাটনা, কটক, সাগর, এমন কি রেঙ্গন বিশ্ববিদ্যালয়েও বাঙলা রচনা প্রতিযোগিতার প্রবতন ও পরিস্কার দিবার ব্যবস্থা হইয়াছে। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙলা পস্তক সংগ্ৰহ করিয়া তাহদের পাঠাগারকে সমদ্ধ করিবার চেন্টাও এই সমিতি করিতেছে। এই কাযে। Vy Gt
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৭১
অবয়ব