অভিনেতা ও নাট্যকার বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়। এই অভিনয়ে বিহারীলাল একটি সত্ৰী-চরিত্র গ্রহণ করিয়াছিলেন। (২) কুলীনকুল-সবাসেম্বর অভিনয়ের পরের দিন আশীতোষ দেবের (সাতুবাবর) বাড়িতে শকুন্তলা অভিনয় হয়। সাতুবাবর পন্ঠপোষকতায় সংস্কৃত হইতে শকুন্তলার অন্যবাদ করা হয়। ‘বেঙ্গল থিয়েটারের ভাবী সবত্বাধিকারী শরৎচন্দ্র ঘোষ ইহাতে অভিনয় করিয়াছিলেন। দশক-হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-পাইকপাড়ার রাজা প্রতাপচন্দ্ৰ সিংহ ও ঈশ্বরচন্দ্র সিংহ এবং বাবা (পরে মহারাজা) যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর। (৩) রামনারায়ণ তকরিত্নের দ্বারা অনদিত বেণী-সংহারের প্রথম অভিনয় হয়, মহাভারতের বিখ্যাত অনাবাদক কালীপ্রসন্ন সিংহের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে। অভিনেতাদের মধ্যে প্রধান হইতেছেন-কালীপ্রসন্ন সিংহ, উমেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় (ব্যারিসন্টার, বিখ্যাত ডব্ল, সি, ব্যানাজি) এবং বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়। (৪) বেণী-সংহারের অভিনয়ের আট মাস পর কালীপ্রসন্ন সিংহের বাড়িতে বিক্রমোবশীর বঙ্গানবাদের প্রথম অভিনয় হয়। বেণী-সংহারের অভিনয়-সাফল্যে উৎসাহিত হইয়া কালীপ্রসন্ন নিজেই কয়েকজন পন্ডিতের সাহায্যে বিক্রমোবশীর বঙ্গানবাদ করেন এবং স্বয়ং পরেরবার ভূমিকা গ্রহণ করেন। এই অভিনয় দেখিবার জন্য বাঙলা সরকারের তখনকার কম সচিব সার সিসিল বিডন এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কমচারী নিমন্ত্রিত হইয়া উপস্থিত ছিলেন। ১৮৫৮—এই বছরের ৩১শে জলাই রাজা ঈশ্বরচন্দ্ৰ সিংহের বেলগাছিয়ার বাগানবাড়িতে রত্নাবলীর বঙ্গানবাদের প্রথম অভিনয় মহাধািমধামে সম্পন্ন হয়। ১৮৫৮ সালে অর্থাৎ রত্নাবলীর অভিনয়ের বছরে বাঙলা রঙ্গমণে8র অগ্রগতি আর একটি প্রসারিত হয়। এতদিন পর্যন্ত অস্থায়ী রঙ্গমঞ্চে যে অভিনয় চলিয়া আসিতেছিল, এবার তাহার একটি পরিবতন হয়। পাইকপাড়ার রাজাদের বদ্যান্যতায় তাঁহাদেরই বেলগাছিয়ার বাগানবাড়িতে স্থায়ী রঙ্গমঞ্চে রত্নাবলীর অভিনয় হয়। এই নাট্যাভিনয়ের একটি বৈশিস্ট্য এই ছিল যে, অভিনয় কালে ইংরাজি রঙ্গালয়ের অনসরণে ঐকতান-বাদনের প্রথম প্রবতন করা হয়। বাঙলা নাট্য-সাহিত্যের ইতিহাসে রত্নাবলীর অভিনয় আরও একটি বিষয়ে সমরণীয়। ইহা মধ্যসাদনের শামিল্ঠা নাটক এবং আরও অনেক মৌলিক বাঙলা নাটকের রচনা-বিষয়ে পথপ্ৰদশক। রত্নাবলীর পরে আরও কয়েকখানি নাটকের অভিনয়ের তালিকা নিম্পেন্ন প্রদত্ত হইল। C V
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৮২
অবয়ব