‘কুলীনকুল-সর্বস্ব' । সেই নাটক বাঙালীদের কাছে সহজেই গ্রহণীয় হইয়াছিল। তাঁহারা এই ভাবিয়া খশী হইয়াছিলেন যে, যাঁহারা এই নাটকের অভিনয় আয়োজন করিয়াছেন, তাঁহাদের প্রধান উদ্দেশ্য হইতেছে, বহবিবাহ এবং কৌলীন্য প্রথার অতিশয় ক্ষতিকর দোষগলি প্রদর্শন করাইয়া সমাজের মঙ্গল করা। ১৮৫৭ সাল আর এক বিষয়ে বাঙলার রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে সমরণীয়। বতমান কালে আমরা যে রঙ্গমণে8 দশ্যপটের ব্যবহার দেখিতে পাই, তাহার প্রচলন এই কুলীনকুল-সবসব নাটকেই প্রথম দেখা গিয়াছিল। তদানীন্তন কালের রঙ্গমঞ্চে নাট্য-প্রয়োগ বিষয়ে যতখানি কৌশল ও বৈচিত্ৰ্য সম্পাদন করা সম্ভব, তাহা এই নাটকের অভিনয়ে প্রয়োগ করা হইয়াছিল। বস্ত্রের দ্বারা রঙ্গমঞg-সজজার মৌলিকতা তৎক্ষণাৎ দশকদের প্রশংসা অর্জন করিয়াছিল এবং আরও মৌলিক নাট্যাভিনয়ের জন্য তাহারা বিশেষভাবে উদ্বদ্ধ হইয়াছিল। এখানে এই কথা বলা আবশ্যক যে, এই নাট্যাভিনয়ের পরে যে বাঙলা নাটকগলি অভিনীত হইয়াছিল। তাহদের মধ্যে সবই ছিল সংস্কৃতের অন্যবাদ। ইহা হইতে এই তথ্য বিশেষভাবে প্রমাণিত হয়, যে যাগে সংস্কৃত নাটক হইতে ইংরাজিতে অন্যবাদ করিয়া অভিনয় করার প্রয়োজন ও সম্ভাবনা দেখা দিয়াছিল, সে যােগ আর নাই। এ কথা সত্য, ১৮৩২ সালে মৌলিক বাঙলা নাটকের যেমন অভাব ছিল, এ-যাগেও তেমনি ছিল। তবে একথা দ্বিগণ জোরের সহিত বলা চলে, সংস্কৃত নাটকের অভিনয় হইতেই মৌলিক বাঙলা নাটক লেখার প্রেরণা আসিয়াছিল এবং ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত মধ্যসাদনের “শমিল্ঠা” নাটকে সেই মৌলিকতা দেখা গিয়াছিল। আর বেশীদার অগ্রসর না। হইয়া, কুলীনকুল-সবসব’ হইতে রত্নাবলীর অভিনয় পর্যন্ত নাটকীয় আগ্রহ জাগিবে। নাট্য-সাহিত্যের ইতিহাসে এ-যাগকে প্রধানত অনা বাদের যােগ বলা হয়। ১৮৫৭—(১) কুলীনকুল-সবােসৰ নাটকের প্রথম অভিনয় হয়। পাথরিয়াঘাটা অঞ্চলের চড়কডাঙ্গাস্থিত জয়রাম বসাকের বাড়ি। অভিনেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হইতেছেন ‘বেঙ্গল থিয়েটারে’র পরবর্তীকালের ম্যানেজার, CAG
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৮১
অবয়ব