গিরিশচন্দ্রের কম শক্তি ও উৎসাহে বধিত হইয়াছিল। নাতন প্রতিআঠানের মধ্যে ‘সন্টার’, ‘এমর্যালড’, ‘সিটি’, ‘মিনাভা”, “ক্লাসিক', 'গ্ৰাড’, ‘নিউ ক্লাসিক', 'কোহিনীর’, ‘মনোমোহন এবং বেঙ্গল থিয়েটারের অপত্যস্বরাপ ‘অরোরা’, ‘ইউনিক’। ‘ন্যাশন্যাল’, ‘গ্রেট ন্যাশন্যাল’, ‘গ্রান্ড ন্যাশন্যাল’ এবং “থেসপিয়ান টেম্পল'-এ সবই গিরিশচন্দ্রের নিকট ঋণী। গিরিশচন্দ্রের অসংখ্য গ্রন্থ এই সব প্রতিস্ঠানের প্রাণধারাকে সঞ্জীবিত রাখিয়াছিল এবং সেইজন্যই কৃতজ্ঞ ভবিষ্যদ্বংশীয়েরা শ্রদ্ধাসহকারে তাঁহাকে ‘রঙ্গমঞ্চের পিতা--এই নাম দিয়াছে। অন্যান্য কীতিমান নাট্যকারেরা উন্নত ধরনের নাটক লিখিয়া এবং রঙ্গালয়কে নানা প্রকারে সাহায্য করিয়া যে সহায়তা দান করিয়াছেন, তাঁহাদিগের নাম এখানে না করিলে অন্যায় হইবে। তাঁহাদিগের মধ্যে সমরণীয় হইতেছেন রাজকৃষ্ণ রায়, অতুলকৃষ্ণ মিত্র, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অমরেন্দ্রনাথ দত্ত, মনোমোহন গোস্বামী, আমতলাল বস, এবং ক্ষীরোদপ্ৰসাদ বিদ্যাবিনোদ । এ কথা অস্বীকার করা চলে না যে, একটি নিয়ন্ত্রণকারী শক্তির অভাবে অনেক অসবিধা থাকা সত্ত্বেও, বতমানে রঙ্গমণ8 একটি পরিবতনের মধ্য দিয়া চলিতেছে।*
- এই রচনাটি ১৯২৪ সালের জানায়ারি মাসে “দি ক্যালকাটা রিভিউ”-এ প্রকাশিত ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মখোপাধ্যায়ের একটি ইংরাজি প্রবন্ধ হইতে শ্ৰীবিভাস
রায়চৌধরিী কর্তৃক অনদিত। ইহা তিনি এম-এ পরীক্ষার দাইটি পত্রের পরিবতে “থিসিস’ হিসাবে লিখিয়াছিলেন। ܟܬ