ইতিমধ্যে ন্যাশন্যাল থিয়েটারের দই বিরোধী দলের মধ্যে যে বিবাদ ছিল, তাহা মিটিয়া গেল। তাহার প্রমাণ পাওয়া যায় দিঘাপতিয়ার রাজ-ভবনে এই দই দলের সম্মিলিত অভিনয় হইতে। এই দই দলের মিলন সম্ভব হইয়াছিল। এমন একটি ঘটনা হইতে, যাহার ফলে একটি নািতন রঙ্গালয় স্থাপনার প্রয়োজন তখনই হইয়াছিল। ঘটনাটি এইরপ —ধমদাস সর ও নগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। দই বিরোধী দলের নেতা ভুবন নিয়োগীর সহিত বেঙ্গল থিয়েটারে ‘উঃ! মোহন্তের এই কি কাজ”- এর অভিনয় দেখিতে গিয়াছিলেন; দশকদের ভীড় এতু হইয়াছিল যে, তাঁহারা টিকিটের মাল্য দ্বিগণ দিয়াও তাহা সংগ্ৰহ করিতে পারেন নাই। ভুবনমোহন এতই বিরক্ত এবং হতাশ হইয়াছিলেন যে, তিনি নিজ ব্যয়ে একটি রঙ্গালয় খলিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। নগেন্দ্রনাথ এবং ধমীদাস তাহাদিগের পর্ব বিরোধ। ভুলিয়া এই প্রস্তাবে রাজি হইয়া গেলেন, এবং তাহার ফলে ১৮৭৩ সালে “গ্রেট ন্যাশন্যাল থিয়েটার” স্থাপিত হয়। এই থিয়েটার “লইস থিয়েটার”-এর (মিসেস জি, বি, ডব্লা, লাইস নামী একজন ইউরোপীয় মহিলার দ্বারা পরিচালিত থিয়েটার) আদশে যেখানে বতমান মিনাভা থিয়েটার অবস্থিত সেখানে স্থাপিত হইয়াছিল। ১৮৭৩ সালে ৩১শে ডিসেম্বর এই থিয়েটারে কাম্য কানন নামে প্রথম নাটকের অভিনয় হয়। এ অভিনয়ের কোন বৈচিত্র্য ছিল না এবং দভাগ্যবশতঃ এই অভিনয়ের মাঝামাঝি সময়ে থিয়েটারে আগন লাগিয়া যায়। তাঁহারা আর কোন উপায় না দেখিয়া কম বীর গিরিশচন্দ্রের শরণাপন্ন হইলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ অবৈতনিক অভিনেতারাপে তাঁহাদের বিপন্মক্ত করিবার জন্য নিজকৃত বঙ্কিমচন্দ্রের ‘মণিালিনীর নাট্যরপ লইয়া অগ্রসর হইলেন। অভিনেত্রী লইয়া অভিনয় করিবার রীতি বেঙ্গল থিয়েটার প্রবতন করিয়াছিল। তাহা জনপ্রিয় হওয়ায় গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারেও ইহার পর ঐ রীতি অবলম্বন করা হইয়াছিল। এখন হইতে বাঙলা রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে যে গৌরবময় যাগের সম্মিট হইল, তাহাতে বাঙলা নাটকের গৌরবও কম নয়। এই ইতিহাসের প্রত্যেকটি পদ্ঠা গিরিশচন্দ্রের কম-কীতিতে উত্তজবল হইয়া আছে। ইহার পর হইতে রঙ্গমঞ্চের ইতিহাস বঝাইতে প্রধানতঃ গিরিশচন্দ্রের নাটকীয় অবদানকেই বঝাইয়া থাকে। গ্রেট ন্যাশন্যালকে অনসরণ NO
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৯৬
অবয়ব