পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A vo শ্ৰীকান্ত একটু হাসিয়া কহিল, আর টের পেলেই বা কি ? ধরা কি মুখের কথা ? দ্যাখ, শ্রীকান্ত, কিচ্ছ ভয় নেই—ব্যাটাদের চারখানা ডিঙি আছে বটে, কিন্তু যদি দেখিস ঘিরে ফেললে ব’েল—আর পালাবার যে নেই, তখন ঝুপ ক’রে লাফিয়ে পড়ে একডুবে যতদূর পারিস গিয়ে ভেসে উঠলেই হ’ল । এ অন্ধকারে আর দেখবার জোটি নাই তারপর মজ ক’রে সতুয়ার চড়ায় উঠে ভোর-বেলায় সাঁতরে এপারে এসে গঙ্গার ধারে ধারে বাড়ী ফিরে গেলেই বাস্ ! কি করবে ব্যাটারা ? চড়টার নাম শুনিয়াছিলাম ; কহিলাম সতুয়ার চড়া ত ঘোরনালার স্থমুখে, সে ত অনেক দূর । ইন্দ্র তাচ্ছিলাভরে কহিল, কোথায় অনেক দূর ? ছ-সাত কোশও হবে না বোধ হয়। হাত ভেরে গেলে চিত হয়ে থাকলেই হ’ল—তা ছাড়া মড়া-পোড়ানো বড় বড় গুড়ি কত ভেসে যাবে দেখতে পাবি ৷ আত্মরক্ষার যে সোজা রাস্ত সে দেখাইয়া দিল, তাহাতে প্রতিবাদের আর কিছু রহিল না । জেলেদের নৌকাগুলা তখন অনেকটা দূরে কালে কালে ঝোপের মত দেখাইতেছে । আরও খানিকটা অগ্রসর হইয়৷ গন্তব্য স্থানে পৌছান গেল । ধাবর-প্রভুরা খালের সিংহদ্বার আগুলিয়া আছে মনে করিয়া এস্থানটায় পাহার রাখে নাই। ইহাকে মায়াজাল বলে । খালে যখন জল থাকে না তখন এ-ধার হইতে ও-ধার পর্যন্ত উচু উচু কাঠি শক্ত করিয়া পুতিয়া দিয়া তাহারই বহিদিকে জাল টাঙাইয়৷