পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু জিজ্ঞাসা করিলেন, গঙ্গামাটি কি তোমাদের জমিদারী দিদি ? রাজলক্ষ্মী একটু হাসিয়া কহিল, দেখছি কি ভাই, আমরা একটা মস্ত জমিদার । এবার উত্তর দিতে গিয়া সাধুও একটুখানি হাসিয়া ফেলিলেন। বলিলেন, মস্ত জমিদারী কিন্তু মস্ত সৌভাগ্য নয় দিদি। র্তাহার কথায়, তঁহার পার্থিব অবস্থা সম্বন্ধে আমার একপ্রকার সন্দেহ জন্মিল, কিন্তু রাজলক্ষ্মী সে দিক দিয়া গেল না । সে সরলভাবে তৎক্ষণাৎ স্বীকার করিয়া লইয়া কহিল, সে কথা সত্যি আনন্দ । ও-সব যত দূর হয়ে যায় उडई डांवा । আচ্ছা দিদি, উনি ভাল হয়ে গেলেই তোমরা আবার সহরে ফিরে যাবে ? ফিরে যাব, কিন্তু আজ সে ত অনেক দূরের কথা ভাই! সাধু কহিলেন, পার ত আর ফিরো না দিদি। এই সব দরিদ্র দুৰ্ভাগাগুলিকে তোমরা ফেলে চলে গেছ বলেই এদের দুঃখ-কষ্ট এমন চতুগুণ হয়ে উঠেছে। যখন কাছে ছিলে, তখনও যে এদের কষ্ট তোমরা দাও নি তা নয়, কিন্তু দূরে থেকে এমন নিৰ্ম্মম দুঃখ তাদের দিতে পার নি। তখন দুঃখ যেমন দিয়েছ, দুঃখের ভাগও তেমনি নিয়েছ । দিদি, দেশের রাজা যদি দেশেই বাস করে, দেশের দুঃখ দৈন্য বােধ করি এমন কাণায় কাণায় ভৰ্ত্তি হয়ে ওঠে না। আর এই কাণায় কাণায় বলতে যে কি বুঝায়, তোমাদের সহর-বাসের সর্বপ্রকার আহার-বিহারের যোগান দেবার অভাব এবং অপব্যয়টা যে কি, এ যদি একবার চোখ মেলে। দেখতে পার দিদি ईं अनिन्ग, दांएँौद्ध अपना (डांभांद्र (कमन कान मां ? সাধু সংক্ষেপে কহিলেন, না। সে বেচারা বুঝিল না, কিন্তু আমি বুঝিলাম রাজলক্ষ্মী প্ৰসঙ্গটা চাপা দিয়া ফেলিল, কেবল সহিতে পারিতেছিল না বলিয়াই ।