শ্ৰীকান্ত Sie সমস্তই মিথ্যে-ছোটবোঁ স্নান ক’রে যাচ্ছিল রান্নাঘরে ; সে যেন সব গুনে ? একেবারে পাথর হয়ে গেল। তারা চলে গেলেও তার ভাব আর ঘুচিতে চাইলে না । আমি ডেকে বললাম, সুনন্দ দাড়িয়ে রইলি, বেলা হয়ে যাচ্ছে না ? কিন্তু জবাবের জন্য তার মুখের পানে চেয়ে আমার ভয় হ’ল। তার চোখের চাহনিতে কিসের যেন একটা আলো ঠিকরে পড়ছে, কিন্তু শ্যামবৰ্ণ মুখখানি একেবারে ফ্যাকাসে-বিবৰ্ণ। তঁাতি-বৌয়ের প্রত্যেক কথাটি যেন বিন্দু বিন্দু ক’রে তার সর্বাঙ্গ থেকে সমস্ত রক্ত শুষে নিয়ে গেছে। সে তখখনি আমায় জৰাব দিলে না, কিন্তু আস্তে আস্তে কাছে। এ স বললে, দিদি, তঁাতি-বেীকে তার স্বামীর বিষয় তোমরা ফিরিয়ে দেবে না ! তার ঐটুকু নাবালক ছেলেকে তোমরা সব্বস্ব বঞ্চিত ক’রে সারাজীবন পথের ভিখারী ক’রে রাখবে ? আশাচৰ্য্য হয়ে বললাম, শোন কথা একবার ! কানাই বসাকের সমস্ত সম্পত্তি দেনার দায়ে বিক্রী হয়ে গেল, ইনি কিনে নিয়েছেন। নিজের কেনা। বিষয় কে কবে পরকে ছেড়ে দেয় ছোটবৌ ? ছোটবোঁ বললে, কিন্তু বটঠাকুর এত টাকা পেলেন কোথায় ? রাগ ক’রে জবাব দিলাম, সে কথা জিজ্ঞেস কর গে যা তোর বটঠাকুরকে -বিষয় যে কিনেছে । এই ব’লে আহ্নিক করতে চলে গেলাম। রাজলক্ষ্মী কহিল, সত্যিই তা। যে বিষয় নিলাম হয়ে বিক্রী হয়ে গেছে তা ফিরিয়ে দিতেই বা ছোটবেী বলে কি ক’রে ? কুশারীগৃহিণী কহিলেন, বল ত বাছা ; কিন্তু এ কথা বলা সত্ত্বেও ভঁাহার মুখের উপর লজ্জার যেন একটা কালো ছায়া পড়িল। কহিলেন, তবে, ঠিক নিলাম হয়েই তা বিক্ৰী হয় নি। কিনা তাই। আমরা হলাম তাদের পুরুত, বংশ । কানাই বসাক মৃত্যুকালে এর ওপরেই সমস্ত ভার দিয়ে গিয়েছিল ; কিন্তু তখন ত আর ইনি জানতেন না। সেইসঙ্গে একরাশ দেনাও রেখে গিয়েছিল । প্তাহার কথা শুনিয়া রাজলক্ষ্মী ও আমি উভয়েই কেমন যেন স্তব্ধ হইয়া LLLD DB BB BDBDB GBDDL DDD DDD DBBDBBD DuD DS মুহুর্তেই একেবারে মলিন করিয়া দিয়া গেল। কুশারীগৃহিণী বোধ করি
