পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চমেণ২ধ্যায়ঃ । > 、> জড়াত্মকে যথা বিশ্বে ধ্রুবস্তাকর্ষণাৎ কিল । ভ্রমন্তি মণ্ডলাকারাঃ সমৃৰ্য্যা গ্রহসংকুলাঃ ॥ ১৭ ॥ তথাচিদ্বিষয়ে কৃষ্ণস্যাকর্ষণবলাদপি । ভ্রমন্তি নিত্যশোজীবাঃ শ্ৰীকৃষ্ণে মধ্যগে সতি ॥ ১৮ ॥ মহারাসবিহারেহস্মিন পুরুষঃ কৃষ্ণএব হি। সৰ্ব্বে নারীগণাস্তত্র ভোগ্যভোক্ত বিচারতঃ ॥ ১৯ ॥ শ্ৰীকৃষ্ণকে মধ্যবৰ্ত্তী করিয়া নিত্যকাল ভ্রমণ করেন । ১৭। ১৮ । এই চিদগত মহারাসলীলায় কৃষ্ণই একমাত্র পুরুষ এবং সমস্ত জীবগণই নারী । ইহার মূলতত্ত্ব এই যে চিজগতের স্বৰ্য্য স্বরূপ ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র একমাত্র ভোক্তা ও সমস্ত অণুচৈতন্যই ভোগ্য । প্রীতিসুত্রে সমস্ত চিৎস্বরূপের বন্ধন সিদ্ধ হওয়ায়, ভোগ্যতত্বের স্ত্রীত্ব ও ভোক্তৃতত্ত্বের পুরুষত্ব সিদ্ধ হইয়াছে। জড়দেহগত স্ত্রীপুরুষত্ব, চিদগত ভোক্তাভোক্তৃত্বের অসৎ প্রতিফলন। সমস্ত অভিধান অন্বেষণ করিয়া এমত একটী বাক্য পাওয়া যাইবে না, যদ্বারা চিৎস্বরূপদিগের পরমচৈতন্যের সহিত অপ্রাকৃত সংযোগলীলা সম্যক্ বর্ণিত হইতে পারে। এতন্নিবন্ধন মায়িক স্ত্রীপুরুষের সংযোগসম্বন্ধীয় বাক্য সকল তদ্বিষয়ে সৰ্ব্বপ্রকারে সম্যক্‌ ব্যঞ্জক বলিয়া ব্যবহৃত হইল। ইহাতে অশ্লীল চিন্তার কোন প্রয়োজন বা আশঙ্কা নাই। যদি অশ্লীল বলিয়া আমরা পরিত্যাগ করি তাহা হইলে আর ঐ পরমতত্ত্বের আলোচনা সম্ভব হয় না। বাস্তবিক বৈকুণ্ঠগত ভাবনিচয়ের প্রতিফলনরূপ মায়িকভাব সকল বর্ণন দ্বারা বৈকুণ্ঠতত্ত্বের বর্ণনে আমরা সমর্থ হই । তদ্বিষয়ে অন্য উপায় নাই। যথা কৃষ্ণ দয়ালু এই কথা বলিতে হইলে মানবগণের দয়াকার্য্য লক্ষ্য করিয়া বলিতে হইবে । কোন রূঢ়বাক্যে ঐ ভাব ব্যক্ত করিবার উপায় নাই । অতএব অশ্লীলতার আশঙ্কা ও লজ্জা পরিত্যাগপূৰ্ব্বক, সারগ্রাহী আলোচকগণ মহারাসের পরমার্থতত্ত্ব উতভাবে শ্রবণ, পঠন ও চিন্তন করুন । ১৯ । সেই রাসলীলার