পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 o শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । আদৌ দুষ্টগুরুপ্রাপ্তিঃ পূতনা স্তন্যদায়িনী । বাত্যারূপ কুতক স্তু তৃণাবর্ত ইতারিতঃ ॥ ১৪ ॥ তৃতীয়ে ভারবাহিত্বং শকটং বুদ্ধিমৰ্দ্দকং। চতুৰ্থে বালদোষাণাং স্বরূপে বৎসরূপধৃক্ ॥ ১৫ ॥ আশ্রয় করিয়াছেন। নিত্যধৰ্ম্মের পোষকরূপে যুক্তির ছলনা, পূতনার ছলনার সহিত, তুলনা করা যায়। রাগমার্গের উপাসকগণ পরমার্থতত্ত্বে যুক্তিকে বিসর্জন দিয়া আত্মসমাধিকে আশ্রয় করিবেন। যে মনুষ্যের নিকট উপসন তত্ত্ব শিক্ষণ করা যায়, তিনি বহিরঙ্গ গুরু । যিনি রাগমার্গ অবগত হইয়া শিষ্যের অধিকার বিচারপূর্বক পরমার্থ উপদেশ করেন তিনি সদগুরু । যিনি নিজে রাগমার্গ অবগত নহেন অথচ উপদেশ করেন, অথবা রাগমার্গ অবগত হইয়াও শিষ্যের অধিকার বিচার না করিয়া কোন উপদেশ করেন, তিনি দুষ্ট গুরু, তাহাকে অবশু বর্জন করিবে । কুতঙ্ক ই দ্বিতীয় প্রতিবন্ধক । ব্রজে বাভ্যারূপ তৃণবৰ্ত্ত বধ না হইলে ভাবোদগম হওয়া কঠিন । দার্শনিক, বৌদ্ধ ও যুক্তিবাদীদিগের সমস্ত তর্কই ব্রজভাব সম্বন্ধে তৃণবন্তরূপ প্রতিবন্ধক । ১৪ । যাহারা বৈধ পর্কের সার অবগত না হইয় তাহার ভারবহনে তৎপর, তাহারা রাগামুভব করিতে পারেন না । অতএব ভারবাহিত্বরূপ বুদ্ধিমৰ্দ্দক শকট ভঙ্গ করিলে তৃতীয় প্রতিবন্ধক দূর হয়। দুষ্ট গুরুগণ রাগাধিকার বিচার না করিয়া অনেক ভারবাহী জনগণকে মঞ্জরী সেবন ও সর্থীভাব গ্রহণে উপদেশ দিয়া পরমতত্ত্বের অবহেলারূপ অপরাধ করায় পতিত হইয়াছেন । যাহার। ঐ সকল উপদেশমতে উপাসন করেন, তাহারাও পরমার্থতত্ত্ব হইতে ক্রমশঃ দূরে পড়িয়া থাকেন, যেহেতু ঐ সকল আলোচনায় আর গম্ভীর রাগের লক্ষণ প্রাপ্ত হন না । সাধুসঙ্গ ও সদুপদেশক্রমে র্তাহারা পুনরায় উদ্ধার পাইতে পারেন। ইহার নাম শকটভঙ্গ। নিরীহ ভাবগত জীবের রক্তমাংসগত চাপল্যবশ হওয়ার নাম বালদোষ । তাহাই বৎসাস্থর রূপ চতুর্থ প্রতিবন্ধক। ১৫ । ধৰ্ম্মকাপট্যরূপ মহাধুর্ত বকাস্থর বৈষ্ণৰদিগেব পঞ্চম প্রতিবন্ধক । ইহাকেই নামাপরাধ বলে । যাহারা অধিকার বুঝিতে না পারিয়া দুষ্ট গুরুর উপদেশে উচ্চাধিকারের উপাসনালক্ষণ