পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবমোহ ধ্যায়ঃ । حساسی جهانی و استاد حسم ব্যাসেন ব্রজলীলায়াং নিত্যতত্ত্বং প্রকাশিতং । প্রপঞ্চজনিতং জ্ঞানং নাপ্নোতি যৎ স্বরূপকং ॥ ১ ॥ জীবস্য সিদ্ধসত্তায়াং ভাসতে তত্ত্বমুত্তমং। দূরতারহিতে শুদ্ধে সমাধে নির্বিকল্পকে ॥২ ॥ ব্যাসদেব ব্রজলীলাবর্ণনে নিত্যতত্ত্ব প্রকাশ করিয়াছেন। প্রপঞ্চজনিত বিষয়স্তান ঐ নিত্যতত্ত্বের স্বরূপকে উপলব্ধি করিতে পারে না (এস্থলে দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৪১,৪২, ৪৩ শ্লোক ও টীকা দেখুন)। ১ । জীবের সিদ্ধসত্তায় ঐ পরমতত্ত্ব ভাসমান হয়। বদ্ধজীবের সম্বন্ধে দুরতারহিত বিশুদ্ধ নিৰ্ব্বিকল্প সমাধিতে ঐ সিদ্ধসত্তা কাৰ্যক্ষম হয় । সমাধি দুই প্রকার সবিকল্প ও নিৰ্ব্বিকল্প। জ্ঞানীগণের সম্প্রদায়ে সমাধির যে কিছু ব্যাখ্যা হইয়া থাকুক, সাত্বতগণ অত্যন্ত সহজ সমাধিকে নিৰ্ব্বিকল্প ও কূটসমাধিকে সবিকল্প সমাধি বলিয়া থাকেন। আত্মা চিদ্বস্তু, অতএব স্বপ্রকাশতা পরপ্রকাশত উভয় ধৰ্ম্মই তাহাতে সহজ। স্বপ্রকাশস্বভাব দ্বারা আত্মা আপনাকে আপনি দেখিতে পায়। পরপ্রকাশ-ধৰ্ম্ম দ্বারা আত্মেতর সকল বস্তুকে জ্ঞাত হইতে পারে। যখন এই ধৰ্ম্ম আত্মার স্বধৰ্ম্ম হইল, তখন নিতান্ত সহজ সমাধি যে নিৰ্ব্বিকল্প তাহাতে আর সন্দেহ কি। আত্মার বিষয়বোধকার্য্যে যন্ত্রান্তরের আশ্রয় লইতে হয় না, এজন্ত ইহাতে বিকল্প নাই। কিন্তু অতন্নিরসনক্রমে যখন সাজ্যসমাধি অবলম্বন করা যায় তখন সমাধিকার্য্যে বিকল্প অর্থাৎ বিপরীত ধৰ্ম্মাশ্রয় থাকায় ঐ সমাধি সবিকল্প নাম প্রাপ্ত হয়। আত্মার প্রত্যক্ষ কাৰ্য্যকে সহজ সমাধি বলা যায়, ইহাতে মনের আশ্রয়”গ্রহণ করিতে হয় না । সহজ সমাধি অনায়াসসিদ্ধ, কোনমতে ক্লেশসাধ্য নহে। ঐ সমাধি আশ্রয় করিলে নিত্যতত্ত্ব সহজে আত্মপ্রত্যক্ষ হইয়া পড়ে । ২ ।