পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবমোহধ্যায়ঃ । ఉt ) আকর্ষণস্বরূপেণ বংশীগীতেন স্বন্দরঃ । মাদয়ন বিশ্বমেতদ্বৈ গোপীনামহরন্মনঃ ॥ ১১ ॥ জাভ্যাদিমদখেত্ৰান্ত্যা কৃষ্ণাপ্তিদু হৃদাং কুতঃ । , গোপীনাং কেবলং কৃষ্ণশ্চিলে লক্ষ্মণে ক্ষমঃ ॥ ১২ ॥ গোপীভাবাত্মকাঃ সিদ্ধাঃ সাধকাস্তদনুকৃতেঃ । দ্বিবিধাঃ সাধবোজেয়াঃ পরমার্থবিদ সদা ॥ ১৩ ॥ শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র আকর্ষণস্বরূপ বংশীগীতের দ্বারা চিদচিজগৎকে উন্মত্ত করিয়৷ গোপীদিগের চিত্তহরণ করেন । ১১ । জাত্যাদিমদবিভ্রম যাহাঁদের হৃদয়কে দুষ্ট করিয়াছে, তাহারা কিরূপে কৃষ্ণলাভ করিতে পারে ? প্রপঞ্চগত দুষ্টমদ ছয় প্রকার ; অর্থাৎ জাতিমদ, রূপমদ, গুণমদ, জ্ঞানমদ, ঐশ্বৰ্য্যমদ ও ওজোমদ। এই সকল মদমত্ত পুরুষেরা ভক্তিভাব অবলম্বন করিতে পারেন না, ইহা আমরা প্রতিদিন সংসারে লক্ষ্য করিতেছি, জ্ঞানমদদুষিত ব্যক্তিগণ শ্ৰীকৃষ্ণতত্ত্বকে সম্পূর্ণরূপে তুচ্ছঙ্গান করেন। র্তাহারা পারক্যচিন্তায় ব্রহ্মানন্দকে ভক্তির অপেক্ষা অধিক সন্মান করেন। মদরহিত পুরুষেরা গোপ ও গোপাভাব প্রাপ্ত হইয়া কৃষ্ণানন্দ লাভ করেন। কৃষ্ণতত্ত্বে গোপগোপীদিগেরই অধিকার,শ্লোকে কেবল গোপীশব্দ ব্যবহৃত হইবার কারণ এই যে, এই গ্রন্থে কান্তভাবাশ্রিত সৰ্ব্বোচ্চ রসের ব্যাখ্যা হইতেছে। শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্যগত পুরুষের ব্রজভাবাপন্ন, তাহারাও নিজ নিজ ভাবগত কৃষ্ণরস উপলব্ধি করেন । এ গ্রন্থে র্তাহাদের রস সকলের বিশেষ ব্যাখ্যা নাই। বাস্তবতত্ত্ব এই যে, সমস্ত জীবের ব্রজভাবে অধিকার আছে। মাধুৰ্য্যভাব হৃদয়স্থ হইলেই জীবের ব্ৰজধামপ্রাপ্তি সিদ্ধ হয়। ব্ৰজধামগত জীবের পূৰ্ব্বোক্ত পঞ্চরসের মধ্যে যে রস স্বভাবতঃ ভাল লাগে, তাহাই তাহার নিত্যসিদ্ধ ভাব । সেই ভাবগত হইয়া তিনি উপাসনা করিবেন, কিন্তু এতদগ্রন্থে কেবল কান্তভাবগত জীবের চরমাবস্থা প্রদর্শিত হইল । ১২ । গোপীভানপ্রাপ্ত পুরুষদিগকে সিদ্ধ বলা যায় এবং ঐ ভাবের যাহারা অনুকরণ করেন তাহারা সাধক । অতএব পরমার্থবিৎ পণ্ডিতেরা সিদ্ধ ও সাধক এই দুইপ্রকার সাধু আছেন বলিয়া স্বীকার করেন। ১৩ ।