পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| উপসংহার। › ግ¢ স্কার, বুদ্ধি, মন ও ইন্দ্রিয়শক্তি ইহারা জড়াত্মক নহে অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে ভূত-গঠিত নহে। কিন্তু ইহাদের সত্তা ভূতমূলক অর্থাৎ ভূতসম্বন্ধ না থাকিলে ইহাদের সভাসিদ্ধ হয় না। ইহারা কিয়ৎপরিমাণে চৈতন্যাশ্রিত, যেহেতু প্রকাশকত্ত্ব ভাবই ইহাদের জীবনীভূত তত্ত্ব কেননা বিষয়জ্ঞানই ইহাদের ক্রিয়াপরিচয় । এই চৈতন্যভাব কোথা হইতে সিদ্ধ হয়। আত্মা শুদ্ধ চৈতন্য সত্তা। আত্মার জড়ানুগত্য সহজে সম্ভব হয় না । অবশ্ব কোন কারণ বশতঃ পরমেশ্বরী ইচ্ছাক্রমে শুদ্ধ আত্মার জড়সম্বন্ধ সংঘটিত হইয়াছে। যদিও বদ্ধাবস্থায় সে কারণ অনুসন্ধান করা আমাদের পক্ষে সুকঠিন হইয়াছে, তথাপি বদ্ধাবস্থার আনন্দাভাব বিচার করিলে এ অবস্থাকে চৈতন্য সত্তার পক্ষে দণ্ডাবস্থা বলিয়া উপলব্ধি হয় । এই অবস্থায় জীবস্বষ্টি হইয়াছে ও কৰ্ম্ম দ্বারা জীবের ক্রমশঃ উন্নতি সাধিত হয়, এরূপ বিচারটা আধুনিক পণ্ডিতদিগের মত হইলেও আত্মপ্রত্যয় বৃত্তিদ্বারা সত্য বলিয়া স্বীকৃত হয় না । এ বিষয়ে অধিক যুক্তি নাই, যেহেতু শুদ্ধ আত্মতত্তে ও পরমেশ্বরের লীলা বিচারে ভূত-মূলক যুক্তির গতিশক্তি নাই। এস্থলে এই পৰ্য্যন্ত স্থির করা কর্তব্য, যে শুদ্ধ আত্মার জড়সন্নিকর্ষে, অহঙ্কার, বুদ্ধি, মন ও ইন্দ্রিয় বৃত্তিরূপ একটা চিদাভাসের উদয় হইয়াছে। ঐ চিদাভাস, আত্মার মুক্তি হইলে আর থাকিবে না। অতএব নরসভায় তিনটা তত্ত্ব লক্ষিত হইল অর্থাৎ আত্মা, আত্মা ও জড়ের সংযোজক