পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» ፄ8 শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । সপ্ত ধাতু* নিৰ্ম্মিত শরীর, ইন্দ্রিয়গণ, বিষয়জানাধিষ্ঠানরূপ মন, বুদ্ধি, অহঙ্কার, অবস্থানভাবাত্মক দেশ ও কাল তত্ত্ব ও চৈতন্য এই কয়েকট ভিন্ন ভিন্ন রূপে নরসভায় লক্ষিত হয়। ভূত ও ভূতধৰ্ম্ম অর্থাৎ তন্মাত্র নিৰ্ম্মিত শরীরটা সম্পূর্ণ ভৌতিক | জড়ভূত জড়ান্তরের অনুভব করিতে সমর্থ নহে, কিন্তু নরসত্তায় শরীরগত স্নায়বীয় প্রণালী ও দেহস্থিত চক্ষু কর্ণাদি বিচিত্র যন্ত্রে কোন প্রকার চিদাধিষ্ঠান রূপ অবস্থা লক্ষিত হয়। তাহার নাম ইন্দ্রিয়, যদ্বারা ভৌতিক বিষয় জ্ঞান ভৌতিক শরীরে প্রবিষ্ট হইয়া ভূতপ্রকাশক কোন আন্তরিক যন্ত্রের সহিত যোজিত হয়। ঐ যন্ত্রকে আমরা মন বলি। ঐ মনের চিত্তবৃত্তিক্রমে বিষয়জ্ঞান অনুভূত হইয়া স্মৃতিবৃত্তিক্রমে সংরক্ষিত হয়। কল্পনাবৃদ্ভিদ্বারা বিষয়জানের আকার পরিবর্তিত হয়। বুদ্ধিবৃত্তিক্রমে লাঘবকরণ ও গৌরবকরণ রূপ প্রবৃত্তিদ্বয় সহযোগে বিষয় বিচার হইয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত নরসত্তায় বুদ্ধি ও চিত্তাত্মক মন হইতে জড় শরীর পর্য্যন্ত অহংভাবাত্মক একটা চিদাভাস সত্তার লক্ষণ পাওয়া যায়। এই তত্ত্ব হইতে অহং ও মম অর্থাৎ আমি ও আমার এই প্রকার নিগৃঢ়ভাব নরসভার অঙ্গীভূত হইয়াছে, ইহার নাম অহঙ্কার। এস্থলে দ্রষ্টব্য এই যে, অহঙ্কার পর্য্যন্ত বিষয়জ্ঞান প্রাকৃত। অহ

  • রস, রক্ত, মাংস, মেদ, অস্থি, মজ্জা ও শুক্র এই সাতট ধাতু ।

○ig S目