পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। 3ఫి' অনেক নিন্দ করেন। স্বদেশবিদ্বেষই তাহার প্রধান কারণ। তাৎপৰ্য্যানুসন্ধানের অভাব ও বিদেশীয় ব্যবহারঅনুকরণপ্রিয়তাও প্রধান কারণ মধ্যে গণ্য হইয়াছে। পূর্বোক্ত ব্যবস্থাটা সম্প্রতি দূষিত হইয়াছে, ইহাতে সন্দেহ কি ? তাৎপর্য্যবিৎ পণ্ডিতের অভাব হওয়ায়, উহ ভিন্নরূপে চালিত হইয়া আসিতেছে, তজ্জন্যই সম্প্রতি বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম লোকের নিকট নিন্দার্হ হইয়াছে। বর্ণাশ্রমব্যবস্থা দোষশূন্য, কিন্তু তাহ অযথাক্রমে চালিত হইলে কিরূপে নির্দোষ থাকিতে পারে ? আদৌ স্বভাবজ ধৰ্ম্মকে বংশজ ধৰ্ম্ম করায় ব্যবস্থার বিপরীত কাৰ্য্য হইতেছে। ব্রাহ্মণের অশান্ত সন্তান ব্রাহ্মণ হইবে ও শূদ্রের সন্তান পণ্ডিত ও শান্তস্বভাব হইলেও শূদ্র হইবে, এরূপ ব্যবস্থা মূল বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের নিতান্ত বিরুদ্ধ। প্রাচীন রীতি এই ছিল যে, সন্তান উপযুক্ত বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে, কুলবৃদ্ধগণ, কুলগুরু, কুলাচাৰ্য্য, ভূস্বামী ও গ্রামস্থ পণ্ডিতবর্গ তাহার স্বভাব বিচার করিয়া তাহার বর্ণ নিরূপণ করিতেন। বর্ণনিরূপণকালে বিচাৰ্য্য এই ছিল যে, পুত্র পিতৃবর্ণ লাভ করিবার যোগ্য হইয়াছে কি না। নিসর্গবশতঃ এবং উচ্চাভিলাষজনিত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ, উচ্চবংশীয় সন্তানের প্রায়ই পিতৃবর্ণ লাভ করিতেন। কেহ কদাচ অক্ষমতাবশতঃ নীচবর্ণ প্রাপ্ত হইতেন। পক্ষান্তরে নীচবর্ণ পুরুষদিগের সন্তানেরা উল্লিখিত সংস্কারসময়ে অনেক স্থলে উচ্চবর্ণ লাভ করিতেন। পৌরাণিক ইতিহাস দৃষ্টি করিলে