পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । " ২৫ . কিয়ৎকাল পরেই সমুদ্রমন্থন। দেবাস্থর যুদ্ধে বৃহস্পতি ইন্দ্রের মন্ত্রী ও শুক্রাচার্য্য অস্থরদিগের মন্ত্রী ছিলেন। হিরণ্যকশিপুকে সহসা বধ করিতে না পারিয়া ষণ্ডামাক দ্বারা তৎপুত্রকে দৈবপক্ষে আনয়ন করত ব্ৰাহ্মণের হিরণ্যকশিপুকে দৈববলে নিহত করেন। হিরণ্যকশিপুর পৌত্র বিরোচন। তাহার সময়ে দেবাস্থরের মধ্যে সন্ধি হয় । দেবতাদিগের বুদ্ধিকৌশল ও অস্থরদিগের বল ও শিল্পবিদ্যা উভয় সংযোগে জ্ঞান সমুদ্রের মন্থন সাধিত হইলে অনেক উত্তম বিজ্ঞান ঐশ্বৰ্য্য ও অমৃত উদ্ভত হয়। পরে জ্ঞানের অত্যালোচনা দ্বারা নৈষ্কৰ্ম্ম্য ও আত্মবিনাশ রূপ বিসের উৎপত্তি হয়। পরমার্থতত্ত্ববিৎ মহারুদ্র ঐ বিষকে বিজ্ঞান বলে সম্বরণ করিলেন। উৎপন্ন অমৃত হইতে অস্থরদিগকে কৌশলক্রমে বঞ্চনা করায় অস্থরের পুনরায় যুদ্ধ আরম্ভ করিল। এই যুদ্ধে পরাজিত হইয়া অসুরগণ অনেক দিন স্বীয় রাজ্যে সন্তুষ্ট থাকিয় কালযাপন করিয়াছিল। ইতিমধ্যে স্থরগুরু বৃহস্পর্তি ইন্দ্রকর্তৃক অপমানিত হইয়া গোপনভাবে কালযাপন করেন । এই অবসরে অস্থরগণ শুক্রচার্যের পরামর্শে পুনরায় যুদ্ধানল উদ্দীপিত করিলে ব্রহ্মসভার অনুমোদন ক্রমে ইন্দ্র ত্বষ্ট পুত্র বিশ্বরূপকে পৌরহিত্যে বরণ করেন। বিশ্বরূপ অনেক কৌশল করিয়া দেবতাদিগকে যুদ্ধে জয়ী করিয়াছিলেন। বিশ্বরূপ স্বয়ং মদ্যপান করিতেন ও তৎসম্বন্ধে অস্থরদিগের সহিত মিত্রত। ক্রমে ক্রমশঃ অসুরদিগকে ব্ৰহ্মাবৰ্ত্তাধিকারের উপায়স্বরূপ ঘ